কচুয়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৮ ঘর পুড়ে ছাই

ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অর্ধকোটি টাকা

আহসান হাবীব সুমন
কচুয়া উপজেলার তেতৈয়া গ্রামে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৮টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় অর্ধকোটি টাকা বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার জানিয়েছে। গত শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) মধ্যরাতে উপজেলার উত্তর কচুয়া ইউনিয়নের তেতৈয়া গ্রামের মান্নান মেম্বারের বাড়িতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তবে পল্লী বিদ্যুৎ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের অবহেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের সব পুড়ে যায় বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা জানান, প্রবাসী ফারুক হোসেনের ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে ক্রমান্বয়ে সাবেক আ. মান্নান মেম্বার ও ডা. আবু বক্করের ঘরে মুহূর্তের মধ্যে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এসময় তাদের ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে কচুয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশন সংবাদ দিলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পৌঁছার আগে আ. মান্নানের ৩টি ঘর, প্রবাসী ফারুক হোসেনের ৩টি ঘর ও ডা. আবু বক্করের ২টি ঘর পুড়ে যায়। এসময় তাদের পুড়ে যাওয়া ঘরে থাকা ২টি মোটরসাইকেল, ২টি বাই-সাইকেল, ৩টি ফ্রিজ, ৩টি টিভি, ২টি সেলাই মেশিন, স্টিলের আলমিরা, নগদ ৫ লাখ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও প্রবাসীর ভিসা-পাসপোর্ট, প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ঘরের সব আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয় বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার জানান।
এসময় আগুন নেভাতে এসে হাসান ও মহসিন নামে দু’জনসহ ৫ জন স্থানীয় ব্যক্তি আহত হয়েছেন। আহতরা সবাই পল্লী চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে যান।
ইউপি সদস্য হালিম মেম্বার, ছাত্রলীগ নেতা সমাজকর্মী ডা. আবুল ইউসুফ মজুমদারসহ স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, আগুন দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা কচুয়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে ফোনে জানালে তারা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করতে অস্বীকার করে। স্থানীয়রা উদ্ধার করতে এগিয়ে আসলেও বৈদ্যুতিক কারণে ভয়ে দ্রুত উদ্ধার করা যায়নি। এছাড়া কচুয়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের তাৎক্ষনিক সংবাদ দেয়া হলে তারা ঘটনাস্থলে ২ ঘণ্টা দেরি করে পৌঁছার কারণে সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
১৭ জানুয়ারি, ২০২১।