কচুয়া বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের হাতাহাতি

স্টাফ রিপোর্টার
চাঁদপুর আদালত প্রাঙ্গণে কচুয়া বিএনপির নেতাকর্মী সাথে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের মাঝে হাতাহাতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ৫ জন আহত হয়েছে।
আহতরা হলেন- কচুয়া উপজেলার আশ্রাফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা মাসুদ রানা সুভাষ, বিএনপি নেতা ফখরুল ইসলাম মিন্টু, উত্তর কচুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক মেম্বার আলমগীর হোসেন ও কচুয়া পৌর বিএনপি নেতা মো. সেলিমসহ আরো কয়েকজন। মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) চাঁদপুর আদালত প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, গত শনিবার (২৮ আগস্ট) স্বেচ্ছাসেবক দলের একটি অনুষ্ঠানে কেন্দ্রিয় ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দ কচুয়ায় যায়। সেখানে কচুয়া উপজেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদের উপর হামলা করে। মঙ্গলবার চাঁদপুর আদালকে কচুয়া উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মামলার হাজিরা দিতে আসে। অপরদিকে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীরাও চাঁদপুর আদালতে মামলার হাজিরা দিতে যায়। ২৮ আগস্ট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দ উপর কচুয়া উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের হামলার সূত্র ধরে গতকাল মঙ্গলবার কচুয়া বিএনপির নেতা-কর্মীদের সাথে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীদের হাতাহাতি সৃষ্টি হয়। এতে চাঁদপুর আদালতের এক আইনজীবীসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়।
আহত উত্তর কচুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক মেম্বার আলমগীর হোসেন জানান, গত ২৮ আগস্ট স্বেচ্ছাসেবক দলের একটি অনুষ্ঠানে কেন্দ্রিয় ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দ কচুয়ায় আসেন। সেখানে কচুয়ার বিএনপির কিছু নেতা-কর্মীরা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে। ঐসময় আমরা ছিলাম না এবং কিছু জানিও না। অথচ চাঁদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের দাযিত্বশীল নেতারা আমাদের উপর যে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে তার নিন্দা জানাই।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েল জানান, গত ২৮ আগস্ট স্বেচ্ছাসেবক দলের একটি অনুষ্ঠানে কেন্দ্রিয় ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দ কচুয়ায় যায়। সেখানে কচুয়া উপজেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বেশ কিছু মোটরসাইকেল নিয়ে প্রোগ্রাম করতে আমাদের বাঁধা দেয়। পরে তারা আমাদের নেতা-কর্মীদের উপর হামলা করে। গতকাল মঙ্গলবার আমাদের নেতা-কর্মীরা চাঁদপুর আদালতে মামলার হাজিরা দিতে যায়। সেখান কচুয়ার নেতা-কর্মীরা আমাদের নেতা-কর্মীদের দেখে গালমন্দ করে। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে একটু কথা কাটাকাটি হয়। পরে আমরা তাদের সরিয়ে দেই।
০১ সেপ্টেম্বর, ২০২১।