আজ থেকে শুরু হচ্ছে সরস্বতি পূজা

স্টাফ রিপোর্টার
হিন্দু সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব বিদ্যার্চনায় দেবী সরস্বতির পূজা এ বছর দিন-ক্ষণ গণনার বর্ষ পঞ্জিকার হিসাব অনুযায়ী আজ ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি ২ দিনের তিথিতে সরস্বতি পূজা উদ্যাপন হতে যাচ্ছে। তবে মূলত পূজার আনুষ্ঠানিকতা হবে ৩০ জানুয়ারি। ইতোমধ্যে পূজার আয়োজকরা তাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। ২৮ জানুয়ারি রাত থেকে আয়োজকরা তাদের পূজা প্যান্ডেলে প্রতিমা স্থাপনের জন্য যেসব মন্দিরে প্রতিমা তৈরি হয়েছে সেখান থেকে নিজেদের মন্ডপগুলোতে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে। তাছাড়া পূজার আয়োজকরা প্যান্ডেল থেকে শুরু করে মন্ডপগুলো বাহারি লাইটের ঝলকানিতে সাজিয়ে তুলেছে।
চাঁদপুর শহরের গোপাল জিউর আখড়া, কালী বাড়ি মন্দির ও পুরাণবাজার হরিসভা মন্দিরে প্রতিমা তৈরির কারিগররা এখন প্রতিমা বুঝিয়ে দেয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। এ বছর চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার দাসপাড়া বড় বাড়িতে চাঁদপুর জেলার মধ্যে সবচেয়ে উঁচু প্রতিমা তৈরি করেছে আমেরিকার একটি প্রতিমার আদলে। অপরদিকে পুরাণবাজার হরিসভা মন্দিরে সরস্বতি পূজার আয়োজকরা তথ্য প্রযুক্তির আদৌলে বিদ্যাশ্রমের মাধ্যমে প্যান্ডেল তৈরি করেছে। এমনিভাবে চাঁদপুর শহরের সরস্বতি পূজার আয়োজকরা নিত্য নতুন ডিজাইনের মাধ্যমে প্যান্ডেলগুলোকে দশনার্থীদের দৃষ্টি নন্দনের জন্য ফুটিয়ে তুলছে।
বিদ্যা দেবীর আরাধনায় প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও চাঁদপুর শহরের মন্দিরগুলোতে পার্শ্ববর্তী জেলার ফরিদপুরের জীবন কৃষ্ণ পাল, সুকুমার পাল ও গোবিন্দ পাল প্রায় ১৫/২০ জন কারিগর দিয়ে প্রায় ৫ শতাধিক প্রতিমা তৈরি করেছে। সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত খড়ের তৈরি বেনার উপর আঠালো মাটির প্রলেপ দিয়ে সরস্বতি প্রতিমা মূর্তি তৈরি করেছে। প্রতিমাগুলো শুকানোর পর এখন রংতুলির আচড়ে সজ্জিত করা হয়েছে।
চাঁদপুর শহরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এ সরস্বতি পূজা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও পাড়া-মহল্লায় প্যান্ডেল তৈরি করে উদ্যাপন করে থাকে। ইতোমধ্যে তারা বিভিন্ন ডেকোরেটর ভাড়া করে সাজ-সজ্জা ও প্যান্ডেল তৈরির কাজ শেষ করেছে। এছাড়া নারায়নগঞ্জ, ঢাকা ও মুন্সিগঞ্জ থেকে আলোকসজ্জার জন্য বিভিন্ন ধরনের অত্যাধুনিক বাতি ও ব্যান্ড পার্টির এবং ইকু সাউন্ড সিস্টেম ভাড়া করে আনা হয়েছে। অনেক মন্দিরে ইতোমধ্যে প্রতিমা স্থাপনও করা হয়েছে।