চাঁদপুরে গ্রাহকদের সাথে পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের প্রতারণা

মেয়াদোত্তীর্ণ বীমার টাকা ৩ বছরেও পায়নি গ্রাহক

স্টাফ রিপোর্টার
চাঁদপুরে পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের প্রতারণার শিকার হয়ে এক গ্রাহক প্রায় ৩ বছরেও পায়নি তার মেয়াদোত্তীর্ণ বীমার টাকা। ভুক্তভোগী গ্রাহক কবে না নাগাদ তার সঞ্চিত টাকা পাবে, তা এই মুহূর্তে কেউ বলতে পারছে না। তবে চাঁদপুরে পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের জোনাল অফিসের এমন কালক্ষেপণে গ্রাহক এখন অনেকটাই হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন। এমন ঘটনাটি ঘটেছে চাঁদপুর পুরাণবাজারস্থ মেরকাটিজ রোডের হতদরিদ্র বাসিন্দা শিখা চৌধুরীর সাথে।
গ্রাহক শিখা চৌধুরির দাবি, গত ২০০৮ সালের ৩ মে তারিখে চাঁদপুর পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের অফিসে মাসিক ১শ’ টাকা করে ১শ’ ২০ প্রিমিয়াম কিস্তিতে মোট ১২ হাজার টাকার ১৪১০৪০৪১৭৬ নম্বরের বীমাটি করেন তিনি। যা গত ২০১৮ সালের ৩ মে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়। পরবর্তীতে মেয়াদোত্তীর্ণ বীমার টাকা দাবি করে পদ্মা লাইফের চাঁদপুরস্থ জোনাল হেড কোয়ার্টার অন্তর্গত চাঁদপুর অফিসে আবেদন করেন তিনি।
ঐ দাবির পর থেকেই আজ-কাল করে প্রায় পৌন ৩ বছর কাটিয়ে দেয় অফিসটি। এতে করে ভূক্তভোগী গ্রাহক টাকার আশায় দিনের পর দিন অফিসটির সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রাখলে তার টাকার কোন সন্ধান মেলাতে পারেননি।
ভূক্তভোগী এই হতদরিদ্র গ্রাহকের দাবি, গত পৌন ৩ বছর ধরে বীমা অফিসটিতে গিয়ে এখন তিনি ক্লান্ত হয়ে পরছেন। সাথে তার সঞ্চিত পুরো ১২ হাজার টাকা ও বীমার লভ্যায়ংশ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মাধ্যমে প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন। এজন্য গ্রাহক তার কষ্টার্জিত টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য বীমা কোম্পানির ঢাকা হেড অফিসের সহযোগিতা কামনা করছেন।
তবে চাঁদপুর পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্স অফিসের এক কর্মচারী নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, ভূক্তভোগী শিখা চৌধুরীর টাকা অনেক আগেই অফিসের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা আত্মসাৎ করেছেন। আর এ কারণেই ভূক্তভোগী গ্রাহক বর্তমানে কোন টাকাই পাচ্ছে না। সামনে পাবে কিনা তা নিয়ে আশঙ্কা ঐ কর্মচারীর।
এ বিষয়ে বীমা অফিসের উর্ধ্বতান কর্মকর্তা আরিফের সাথে তার ব্যক্তিগত ০১৫৩১-১৫০৭৩০ মুঠোফেনে একাধিকবার যোগাযোগ করা চেষ্টা করেও তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
১৮ জানুয়ারি, ২০২১।