চাঁদপুর জেলা জুয়েলার্স সমিতির অভিষেক অনুষ্ঠানে সদস্যদের ক্ষোভ

সাড়ে ৯টার অনুষ্ঠান দুপুর আড়াইটায়, দুপুরের খাবার ৪টায়

স্টাফ রিপোর্টার :
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি চাঁদপুর জেলা শাখার নির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সংগঠনের সদস্যরা। গত শুক্রবার চাঁদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সকাল সাড়ে ৯টায় সংগঠনটির অভিষেক অনুষ্ঠান হওয়ার কথা থাকলেও তা’ শুরু হয়েছে দুপুর আড়াইটায়। এতে সংগঠনের সদস্যদের ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়।
জানা যায়, বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি চাঁদপুর জেলা শাখার নির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শুভাশীষ বসু, উদ্বোধক ছিলেন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির কেন্দ্রিয় সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগারওয়ালা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও উদ্বোধক সকাল ৯টার মধ্যে চাঁদপুরে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তারা হেলিকপ্টারযোগে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে আসেন দুপুর পৌনে ১টায়। তারা অনুষ্ঠানস্থল চাঁদপুর প্রেসক্লাবে আসেন দুপুর আড়াইটায়। সংগঠনের সদস্যরা তাদের স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে অনুষ্ঠানে এসেছেন সকাল ৯টায়। তারা দীর্ঘ সাড়ে ৫ ঘণ্টা অলস সময় কাটিয়েছেন সেখানে। এই সাড়ে ৫ ঘণ্টার মধ্যে চাঁদপুর জেলা জুয়েলার্স সমিতির পক্ষ থেকে কাউকে নাস্তা তো দূরের কথা, কাউকে এক কাপ চা’ও দেয়া হয়নি। এ নিয়ে সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে বিভিন্ন সমালোচনার ঝড় দেখা যায়। পরে অভিষেক উপলক্ষে আলোচনা সভা, অতিথি ও নির্বাচিতদের ক্রেস্ট বিতরণ এবং সংগঠনের স্মরণীকার মোড়ক উন্মোচন শেষে বিকেল ৪টায় দেয়া হয় দুপুরের খাবার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংগঠনের সাবেক বেশ কিছু নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা জানান, বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি চাঁদপুর জেলা শাখার নির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা ছিলো সকাল সাড়ে ৯টায়। আমাদের চাঁদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সকাল ৯টার মধ্যে উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয়। আমরা সময়মতো স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে আসি। কিন্তু অনুষ্ঠানে শুরু হয়েছে দুপুর আড়াইটায়। মাঝখানে দীর্ঘসময় স্ত্রী-সন্তানদের নাস্তা তো দূরের কথা এক কাপ চা’ও দেয়া হয়নি। এরকম দায়িত্ব অবহেলা করা ঠিক হয়নি।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি চাঁদপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মানিক পোদ্দার জানান, আমাদের অভিষেক অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি কেন্দ্রিয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও এফবিসিসিআই’র পরিচালক দিলীপ কুমার আগারওয়ালা। কিন্তু হঠাৎ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শুভাশীষ বসু অভিষেক অনুষ্ঠানে আসার কারণে আমাদের একশ’ লোকের খাবার অতিরিক্ত আয়োজন করতে হয়েছে। একজন লোকের পেছনে খাবার তৈরি করতে গিয়ে খরচ হয়েছে ৬৫০ টাকা করে। একশ’ লোকের অতিরিক্ত খাবার তৈরি করতে গিয়ে আমাদের প্রায় ৬৫ হাজার টাকা বেশি খরচ হয়েছে। এ সম্পূর্ণ টাকা আমাদের কার্যকরি পরিষদের বহন করতে হয়েছে। এছাড়া স্মরণীকার শেষ পৃষ্ঠায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি কেন্দ্রিয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগারওয়ালার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে। বিজ্ঞাপনটি ছাপানোর জন্য দিলীপ কুমার আগারওয়ালা ২৫ হাজার টাকা দেয়ার কথা থাকলে তিনি কোন টাকা দিয়ে যাননি। এসব কারণসহ বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি চাঁদপুর জেলা শাখার নির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানটি করতে হিমশিম খেতে হয়েছে।