নৌকা প্রতীক পেতে প্রার্থীরা মরিয়া
মনিরুল ইসলাম মনির
দলীয় প্রতীকে পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্তের পর মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌর নির্বাচনের দৃশ্যপট পাল্টে গেছে। সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীরা দলীয় মনোনয়ন পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। নৌকা প্রতীক পাওয়ার জন্য ১১ সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী জোর গ্রুপিং-লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন।
পৌরবাসীদের ধারণা, আসন্ন পৌর নির্বাচনে যিনি নৌকা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনিই নির্বাচনে সুবিধাজনক স্থানে থাকবেন।
এদিকে কেন্দ্রিয় নেতাদের সঙ্গে জোর লবিং ও যোগাযোগ ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা চালাচ্ছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। বাড়ি, দোকান, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রার্থীরা গিয়ে গণসংযোগ করছেন। সম্ভাব্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের পোস্টার ও ডিজিটাল সাইনে নির্বাচনী এলাকা ছেয়ে গেছে। সমর্থকদের নিয়ে ছেংগারচর শহরে শোডাউনও করছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
ছেংগারচর পৌর নির্বাচনে এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছেন ১১ জন প্রার্থী। পৌর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় ১১ জন প্রার্থী ছেংগারচর পৌর মেয়র প্রার্থী হিসেবে জীবনবৃত্তান্ত জমা দেন। তারা হলেন- মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোখলেছুর রহমান মাস্টার, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান কাইয়ুম চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আলহাজ আল মাহমুদ টিটু মোল্লা, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রিয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক লায়ন আরিফ উল্যাহ সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদ্যসাবেক অর্থ সম্পাদক মিজানুর রহমান, উপজেলা যুবলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাড. মহসীন মিয়া মানিক, গুলশান থানা যুবলীগের সহ-সভাপতি শিল্পপতি মাহবুবুর রহমান সেলিম, উপজেলা যুবলীগের সদস্য আলহাজ মো. নাসির উদ্দিন মিয়া, পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য আতিকুর রহমান আতিক, আওয়ামী লীগ নেতা আলা উদ্দিন প্রধান ও পৌর ছাত্রলীগের নেতা ওয়াস কুরুনী খান মুকুল।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মনোনয়ন প্রত্যাশীদের কেউ কেউ ছোট পরিসরে ওয়ার্ড কিংবা পাড়া-মহল্লায় কর্মি সভা করে যাচ্ছেন। সমর্থকরা পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে নানাভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক সরব করে রেখেছেন। প্রচার করছেন লিফলেট। সব মিলিয়ে ছেংগারচর এখন পৌর নির্বাচনী আবহ বিরাজ করছে।
১০ ডিসেম্বর, ২০২০।