স্টাফ রিপোর্টার
চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো. জুলফিকার আলী খাঁনের বাসভবেন গভীর রাতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোর চক্র জজের বেড রুমের জানালা দিয়ে মশারি কেটে তার স্ত্রীর মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। একই সময় পাশের বাসা থেকে চুরি হয় একটি মোবাইল ও ল্যাপটপ।
গতকাল রোববার ভোরে শহরের আব্দুল করিম পাটওয়ারী সড়কের জেলা জজের বাসভবনে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ৯টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান ও মডেল থানার পুলিশ সদস্যবৃন্দ।
স্থানীয়রা জানান, জেলা জজের বাসভবনের চারপাশের দেয়ালে কয়েক স্থানে ভাঙা। খুব সহজেই চোর চক্রের চুরি করার সুযোগ রয়েছে। জেলার বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ ব্যক্তির বাসায় যদি হয় এমন নিরাপত্তাহীনতা তাহলে সাধারণ মানুষের অবস্থা দাঁড়ায় কোথায়?
জেলা জজ আদালতের কর্মচারীরা জানান, জেলা জজের বাসায় দায়িত্ব পালন করেন মাত্র ৪ জন পুলিশ সদস্য। কিন্তু তারা রুটিন অনুযায়ী একই স্থানে দাঁড়িয়ে দায়িত্ব পালন করেন। যদি তারা ভবনের চারপাশে নজর রাখেন এবং হাটা-হাটি করেন তাহলে চোর চক্র এই ধরনের সাহস পায় না।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, ধারণা করা হচ্ছে কোন মাদকাসক্ত চোর কিংবা পেশাগত মোবাইল চোর এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। কারণ তারা শুধু মোবাইলই চুরি করেছে। আমরা এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থাগ্রহণ করবো।
চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো. জুলফিকার আলী খাঁন বলেন, চোর চক্র যে ঘটনা ঘটিয়েছে তার চাইতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। আল্লাহ রক্ষা করেছেন। কারণ জানালার ফাঁকে অস্ত্র দিয়ে হত্যার ঘটনাও ঘটানো সম্ভব। শুধুমাত্র আমার স্ত্রীর মোবাইল চুরি হয়েছে। যদি আমার মোবাইল কিংবা অন্য জরুরি জিনিসপত্র চুরি হতো তাহলে বড় ধরনের সমস্যায় পড়তাম।
তিনি আরো জানান, আমার বাসভবনের চারদিকে যে দেয়াল রয়েছে, তা খুবই নিচু। আমি বাসভবনসহ দেয়ালের সংস্কার কাজ করার জন্য প্লান পাস করিয়ে চাঁদপুর গণপূর্ত বিভাগকে একাধিকবার জানিয়েছি, কথা বলেছি। তারা এখন পর্যন্ত কোন ধরনের ব্যবস্থাগ্রহণ করেননি। সিসি টিভি ক্যামেরার চাহিদা দেয়া হয়েছে সেটাও করেনি গণপূর্ত বিভাগ।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় পুলিশ মিডিয়া সেলে ম্যাসেজ পাওয়া যায়, জেলা ও দায়রা জজ এর বাসভবেন সংঘটিত চুরির ৭ ঘণ্টার মধ্যে চুরি যাওয়া মোবাইল উদ্ধার ও চোর সনাক্ত হয়েছে।
৮ জুলাই, ২০১৯।