স্টাফ রিপোর্টার :
চাঁদপুর শহরের মাঝি বাড়ি সংলগ্ন কয়েকটি বাড়ি থেকে ৭টি চোরাই গরু উদ্ধারের ঘটনায় আন্তঃজেলা গরু চোর চক্রের ৪ সদস্যের মধ্যে ৩ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করে। অপরদিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই সাইদুর রহমান গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে শহরের মাদ্রাসা রোড থেকে গোপন সংবাদের ভিক্তিতে গরু চোর চক্রের প্রধান আসামি মনির হোসেন গাজী ওরফে কাঠ মনিরকে আটক করে। পরে তাকে আদালতে প্রেরণ করলে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করে।
আন্তঃজেলা গরু চোর চক্রের অন্যান্য আত্মসমর্পণকারী ৩ সদস্য হলেন- হিরণ মাঝি, হালিম খান ও দেলু মিঝি। বর্তমানে উদ্ধার হওয়া ৭টি গরুর মধ্যে ৫টি গরু জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই সাইদুর রহমানের হেফাজতে রয়েছে। প্রকৃত মালিক না পাওয়ায় গরুগুলো নিয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ বিপাকে রয়েছে বলেও জানা যায়।
উল্লেখ্য, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে চাঁদপুর শহরের ৯নং ওয়ার্ড মাঝি বাড়ি সংলগ্ন কয়েকটি বাড়ী থেকে ৭টি চোরাই গরু উদ্ধার করা হয়েছে। ১৬ নভেম্বর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই সাইদুর রহমান অভিযান চালিয়ে গরুগুলো উদ্ধার করেন। ডিবি পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গরুচোর সিন্ডিকেট চক্ররা পালিয়ে যায়। এ সিন্ডিকেট গরু চোর চক্রের মূল হোতা হচ্ছে মনির হোসেন গাজী ওরফে কাঠ মনির। সে তার পালিত চোর চক্রের সহায়তায় উদ্ধার হওয়া ৭টি গরু চরাঞ্চল থেকে চুরি করে আনে। এরমধ্যে মাঝি বাড়ি এলাকার দেলু মিজির সহায়তায় মহারাজ নামের এক ব্যক্তির কাছে ২টি গরু ৬০ হাজার টাকা বিক্রি করে। পরবর্তীতে মহারাজ ঐ গরু ২টি ১০ হাজার টাকা লাভে ৭০ হাজার টাকায় শহীদ গাজীর কাছে বিক্রি করে। এছাড়াও হাজীগঞ্জের দেলু নামের একজনের মাধ্যমে ইদ্রিস নামের এক ব্যক্তির কাছে অপর ১টি গরু আনু ছৈয়ালের কাছে মোট ৪০ হাজার টাকা বিক্রি করে। এছাড়াও সিন্ডিকেট চক্রের আরেক সদস্য সেলিমের কাছ থেকে তাজল নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি একটি গরু ক্রয় করে। ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে ছৈয়াল বাড়ির আনু এবং আবুর খামার থেকে আরো ২টি চোরাই গরু উদ্ধার করে। এভাবে দীর্ঘ ৩ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে মোট ৭টি গরু উদ্ধার করা হয়। আন্তজেলা গরু চোর চক্রের একটি শক্তিশালি সিন্ডিকেট চক্র দীর্ঘদিন যাবত চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু চুরি করে বিক্রি করে আসছিল।
এ চক্ররা বিশেষ করে রাজরাজেশ্বর, শরীয়তপুর, মেঘনার চরসহ আশেপাশের চরাঞ্চলে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের গরুগুলোর প্রতি টার্গেট করে চুরি করতো। তারা চরাঞ্চলের চোরাই গরু নিয়ে চাঁদপুর শহরের মাঝিবাড়ি সংলগ্ন নদী তীর দিয়ে নামিয়ে সিন্ডিকেট চক্রের মাধ্যমে আশে পাশের বিভিন্ন বাড়িসহ জেলার নানা স্থানে বিক্রি করতো বলে জানা যায়।