এস এম সোহেল
ফরিদগঞ্জ উপজেলার আলোচিত কিশোরী জেসমিন হত্যা মামলায় আসামি সাইফুল ইসলামকে মৃত্যুদন্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদ- এবং অপর দুই আসামি মো. মিরাজ বেপারী ও নুর ইসলাম ওরফে লেদাকে যাবজ্জীবন ও ১০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার দুপুর দেড়টায় চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ মো. জুলফিকার আলী খাঁন এ রায় দেন। হত্যার শিকার জেসমিন আক্তার ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ হরিণা গ্রামের চুন্নু মিয়ার মেয়ে।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত সাইফুল চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের গুলিশা গ্রামের অলিউল্যা শেখের ছেলে। যাবজ্জীবন কারাদ-প্রাপ্ত মিরাজ একই উপজেলার সোবহানপুর গ্রামের চুন্নু মেম্বারের ছেলে এবং নুর ইসলাম ওরফে লেদা একই উপজেলার পূর্ব গুলিশা গ্রামের মুসলিম রাঢ়ীর ছেলে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি দিনগত রাতে কোন এক সময় আসামিরা সংঘবদ্ধ হয়ে জেসমিন আক্তারকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে ফসলি জমিতে রেখে চলে যায়। পরদিন ২৬ জানুয়ারি ভোরে স্থানীয়রা মরদেহ দেখতে পেয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় জানায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
এ ঘটনায় ফরিদগঞ্জ থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) রহমান আলী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদগঞ্জ থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিজাম উদ্দিন তদন্ত শেষে একই বছরের ১০ মে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
সরকার পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. আমান উল্যা জানান, মামলটি প্রায় ৪ বছর আদালতে চলমান অবস্থায় ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত। সাক্ষ্য প্রমাণ ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে আদালত এই রায় দেন। আসামিরা আটক হওয়ার পর জামিনে গিয়ে পলাতক রয়েছেন। তাদের অনপুস্থিতিতেই এই রায় দেয়া হয়।
সরকার পক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ছিলেন মোক্তার আহমেদ অভি।

