ফরিদগঞ্জে ডেঙ্গু আতংকে হাসপাতালগুলোতে ভিড়


ডেঙ্গু আক্রান্ত ৪৩ রোগী সনাক্ত

ফরিদগঞ্জ ব্যুরো
সারাদেশের মতো ফরিদগঞ্জেও ডেঙ্গু আতংক ভর করেছে সাধারণ মানুষদের মধ্যে। ফলে জ্বর হলেই ছুটছে হাসপাতালে দিকে। হোক সরকারি বা বেসরকারি। ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, এ পর্যন্ত তারা মোট ৪৩ জন ডেঙ্গু রোগীর সন্ধান পেয়েছেন। স্থানীয়ভাবে আক্রান্তের চেয়ে ঢাকা থেকে জ্বর নিয়ে এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ডেঙ্গু জ্বর ধরা পরা রোগীর সংখ্যা বেশি।
জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৫ জন, বেসরকারি হাসপাতাল ফরিদগঞ্জ ডায়াবেটিকস হাসপাতালে ২৩ জন এবং আল-মদিনা হাসপাতালে ৫ জন রোগী সোমবার পর্যন্ত সনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ১২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা রেফার করা হয়েছে। অন্যরা হাসপাতালে ভর্তি ও বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। গত ১০ দিনের চিত্র এটি। এদিকে সংখ্যা দেখে আতংকের ঘটনা ঘটলেও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সতর্কতা অবলম্বন করলে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব।
ফরিদগঞ্জ ডায়াবেটিকস হাসপাতালে হাসপাতালে পরিচালক ডা. সাদেকুর রহমান জানান, প্রতিদিন তার হাসপাতালে ডেঙ্গু সন্দেহে রোগী ভিড় করছে। তবে এই পর্যন্ত ২৩ জন ডেঙ্গু রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ৪ জনকে গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। অন্য ১৯ জনকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, সাধারণত প্রথমবার ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তরা সাধারণ চিকিৎসাতেই সেরে উঠে। কিন্তু দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হলে প্লাটিলেটের হার হ্রাস পাওয়ার ঘটনা ঘটে। যা পরে মারাত্মক আকার ধারণ করে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জাহাংগীর আলম শিপনও একই তথ্য জানিয়ে বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আমরা ইতোমধ্যেই ডেঙ্গু বিষয়ে একটি পৃথক সেল করেছি। জ্বরে আক্রান্তরা যাতে সহজেই তাদের সেবা পেতে পারে। এছাড়া ইতোমধ্যেই উপজেলা স¦্যস্থ্য বিভাগের লোকজন ডেঙ্গু প্রতিরোধে সাধারণ মানুষকে সচেতন করে তোলার জন্য মাঠে কাজ করছেন। সচেতনতা তৈরি না হলে এডিস মশার বংশ বিস্তার হ্রাস করা কষ্টকর। তাই আমাদের সবার এই বিষয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। তবে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি না হলে এ সংখ্যা বাড়তে পারে।

০৭ আগস্ট, ২০১৯।