নবী নোমান
ফরিদগঞ্জের পল্লীতে আবুল ওসমান (১৭) ও ফাহিম (১৬) নামে দুই কিশোর প্রেমের টানে কীটনাশক ও গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। গত শুক্রবার রাতে উপজেলার সুবিদপুর পশ্চিম ইউনিয়নের শোল্লা গ্রাম থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আবুল ওসমান ও গ্রামের আব্দুল মোতালেবের ছেলে। ফাহিম একই গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। শনিবার (৯ নভেম্বর) সকালে দু’জনেরই মরদের ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে পুলিশ।
মৃতের পরিবারের বরাত দিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য সৈকত মোল্লা জানান, আবুল ওসমান স্থানীয় শোল্লা স্কুল এন্ড কলেজ থেকে চলতি বছরে এইচএসসি পরীক্ষায় পাস করেছে। সে সম্প্রতি মুঠোফোনের মাধ্যমে বরিশালের একটি মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে পরিবারের লোকজন তাকে বকাঝকা করে। গত শুক্রবার বিকেলে পরিবারের সবাই মিলে তারা এক আত্মীয়ের বাড়িতে দাওয়াতে যায়। সেখান থেকে আবুল ওসমান সবার আগে বাড়িতে চলে আসে। রাতে তার বাবা বাড়িতে আসলে দেখে সে ঘরের আঁড়ার সাথে ফাঁস দেয়াবস্থায় ঝুলে আছে। পরে তার ডাকচিৎকারে প্রতিবেশিরা এসে পুলিশকে খবর দেয়।
ওই ইউপি সদস্য আরো জানান, ফাহিম নামে ওই কিশোর শোল্লা স্কুল এন্ড কলেজে দশম শ্রেণিতে পড়তো। গত কয়েকমাস আগে সে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে একটি বিস্কুট ফ্যাক্টেরীতে কাজ শুরু করে। সেও একটি মেয়ের সাথে প্রেমে জড়িয়ে পড়ে পরিবারের লোকজনকে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করে। প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়ায় তার পরিবারের লোকজন তাকে বিয়ে দিতে রাজি হয়নি। সে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় কীটনাশক পান করলে পরিবারের লোকজন টের পেয়ে তাকে স্থানীয়দের সহায়তায় জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফাহিমকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ওসি মো. হানিফ সরকার বলেন, খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে ওই দুই কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে শনিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে অপ্রাপ্ত বয়স্ক এই দুই কিশোর প্রেম সংক্রান্ত কারণে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে পারিবারিক ভাবে উপস্থাপিত তথ্যের ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
১০ নভেম্বর, ২০২৪।