নারায়ন রবিদাস
হাতে মেহেদীর রঙ পুরোপুরি না মুছতেই যৌতুকের বলী হতে হলো ফরিদগঞ্জের উম্মে কুলছুমা আঁখি (২০) কে। বাবার বাড়িতেই নির্যাতনপূর্বক হত্যা করে লাশ ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায় আঁখির স্বামী আমানত শাহ। পুলিশ সংবাদ পেয়ে লাশ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেমের জন্য চাঁদপুর প্রেরণ করেছে।
এ ব্যাপারে নিহত আঁখির ভাই শাহাদাত হোসেন বাদী হয়ে আঁখির স্বামী আমানত শাহ, তার ভাই, ভাবী এবং শাশুড়ির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
জানা গেছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের ফনিশাইর গ্রামের বড় সর্দার বাড়ির গোলাম সারওয়ারের মেয়ে উম্মে কুলছুমা আঁখির সাথে পারিবারিক সম্মতিতে শাহারাস্তি উপজেলার উয়ারুক গ্রামের আজকারি মাইজের বাড়ির মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে আমানত শাহের সাথে বিয়ে হয়।
আঁখির ভাই শাহাদাত জানায়, কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর হতেই যৌতুক আঁখির সাথে তার স্বামী ও পরিবারের বিরোধের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গত ১ মে আঁখি তার বাবার বাড়ি ফরিদগঞ্জের ফনিশাইর গ্রামে চলে আসে। এর পর গত ৪ মে তার স্বামী আমানত আঁখিদের বাড়িতে আসে। ওই রাতে আঁখি ও তার স্বামীর সাথে ঝগড়া হয়। পরদিন রোববার সকালে আঁখির ঝুলন্ত লাশ ঘরের আড়ার সাথে পরিবারের লোকজন দেখতে পায়। তবে স্বামী আমানত শাহ এর আগেই পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে থানা পুলিশ রোববার লাশ উদ্ধার করে পোস্ট মর্টেমের জন্য চাঁদপুর প্রেরণ করে। এ ব্যাপারে আঁখির ভাই শাহাদাত বাদী হয়ে যৌতুকের জন্য নির্যাতন পূর্বক হত্যার অভিযোগ করে ফরিদগঞ্জ থানায় রাতেই হত্যা মামলা দায়ের করে।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জাকারিয়া জানান, পোস্টমর্টেম রিপোর্ট আসলে ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন হবে। এছাড়া মামলার অভিযোগের ভিত্তিতে আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে।