ফরিদগঞ্জে সালমা হত্যা মামলায় আরো ২ জন আটক

শাশুড়ির ৫ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে প্রেরণ

নারায়ন রবিদাস
ফরিদগঞ্জের আলোচিত গৃহবধূ সালমা হত্যা মামলায় জড়িত সন্দেহে আরো ২ যুবককে আটক করেছে পুলিশ। অপরদিকে রিমান্ডে আনা তার শাশুড়ি আলিমুন্নেছার ৫ দিনের রিমান্ড শেষে রোববার সকালে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। থানা পুলিশ শ্রীঘই ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।
ফরিদগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী অফিসার কাজী মো. জাকারিয়া জানান, হত্যা ঘটনার পর জড়িত সন্দেহে সালমার শাশুড়ি আলিমুন্নেছাকে আটককের পর ৫ দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তেমন তথ্য পাওয়া না গেলেও আশেপাশের স্বাক্ষী ও মোবাইল ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলারর গল্লাক এলাকা থেকে শারাফত হোসেন ও রোববার বিকালে ঘনিয়া এলাকা থেকে টিপু সুলতান নামে দুই যুবককে আটক করা হয়।
এদিকে সালমা হত্যার ঘটনার পোস্টমর্টেম রিপোর্ট দু’একদিনের মধ্যে পুলিশের হাতে পৌঁছার কথা রয়েছে বলে জানা গেছে। রিপোর্টে কি রয়েছে- এ নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। বাদীপক্ষের দাবি পোস্টমর্টেম রিপোর্টে সালমাকে হাতের রগ কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে আত্মহত্যার বলে চালিয়ে দেয়ার জন্য তাকে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে, এমন রিপোর্টই আসবে। যদিও বিষয়টি কেউই নিশ্চিত করতে পারেনি।
এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ রকিব উদ্দিন জানান, সালমার হত্যা বিষয়টি নিয়ে আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে তদন্ত করছি। আশা করছি শ্রীঘ্রই রহস্য উদযাটনে সম্ভব হবো।
উল্লেখ্য, উপজেলার সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের ঘনিয়া গ্রাম থেকে গত ১৯ মে সালমার হাতের রগ কাটা অবস্থায় ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। ঐ ঘটনায় সালমার বাবা গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের হুগলি গ্রামের মহসিন বাদী হয়ে সালমার প্রবাসী স্বামী মাহফুজুর রহমান ও শাশুড়ি আলিমুন্নেছাকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ সালমার লাশ উদ্ধারের সময় তার শাশুড়ি আলিমুন্নেছাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে এবং পরদিন ২০ মে আদালতে পাঠালে বিজ্ঞ আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। সালমার মৃত্যুর ঘটনার পর খাজুরিয়া বাজারে নৃশংস এই হত্যাকা-ে জড়িতদের দ্রুত আটক করে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাতে মানববন্ধন করে তার পরিবারের লোকজন, আত্মীয় স্বজন, এলাকাবাসী, স্থানীয় খাজুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহস্রাধিক শিক্ষার্থীসহ প্রায় দুই সহস্রাধিক লোকজন।