মনিরুল ইসলাম মনির
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো. ছাইফুল আলম বলেছেন, সয়াবিন তেলের নামে আমরা কি খাচ্ছি। এগুলো আসলে আসল সয়াবিন তেল না। সবচেয়ে পুষ্টিকর ও নিরাপদ তেল হল নিজেরা তেলজাতীয় ফসল উৎপাদন করতে পারলে। সুতরাং পুষ্টি চাহিদা পূরণে তেলজাতীয় ফসল উৎপাদনে আমাদের সবাইকে আরো আগ্রহী হতে হবে।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) মতলব উত্তর উপজেলায় সাদুল্ল্যাপুর ইউনিয়নে সূফি দরবারে তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাঠ দিবস ও কারিগরি আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ছাইফুল আলম বলেন, বাংলাদেশ খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও পুষ্টি চাহিদা অনেক ঘাটতি আছে। আমাদের দেশের কৃষক ভাইরা বেশিরভাগই লাভজনক ফসল উৎপাদন করার আগ্রহ থাকে। কিন্তু আমাদের সবাইকে বুঝতে হবে খাদ্য উৎপাদনের পাশাপাশি পুষ্টি ও তেলজাতীয় খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। তা নাহলে আমরা দিন দিন অপুষ্টিতে ভুগতে থাকবো।
আমরা মাঝে মাঝে লক্ষ্য করি কৃষক ভাইদের কৃষক বলে কটাক্ষ করা হয়। কিন্তু আমাদের কৃষকরাই দেশের প্রধান উৎপাদন শক্তি। কৃষকরা যদি উৎপাদন না করতো তাহলে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারতাম না। যেমন করোনাকালীন সময়ে সব শ্রেণি-পেশার মানুষই কর্ম থেকে দূরে ছিলেন। কিন্তু কৃষকরা কিন্তু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন। তারপরও করোনাকালীন ৪০% উৎপাদন কমে গিয়েছিল। তবে কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমে গত দুই বছরে ২০% বেড়েছে। তাই কৃষক ভাইদের ছোট করে দেখার কোনও সুযোগ নেই।
কুমিল্লা অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আমজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফয়সাল মোহাম্মদ আলীর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডা. সাফায়েত আহম্মেদ সিদ্দিকী, সিকোট্যাক্স এগ্রো লিমিটেডের পরিচালক ও কৃষি উদ্যোক্তা এবিএম নাছির উদ্দীন সরকার, চাঁদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আবু তাহের।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, আলআমিন, কামরুল হাসান, মিজানুর রহমান, ফরহাদ হোসেন, বিল্লাল, শেখ ফরিদ শাকিল, মতিউর রহমান, সাহাদাত হোসেন, আতিকুর রহমান, সালাহ্উদ্দিন মিয়াজি, নুর মোহাম্মদ, উপ-সহকারী কৃষি অফিসার, নাছির উদ্দিনসহ স্থানীয় কৃষক-কৃষাণী, গণমাধ্যমকর্মী, কৃষি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪।