স্টাফ রিপোর্টার
আর মাত্র ২দিন পরই পবিত্র ঈদুল আজহা। আর ঈদের ছুটি মানেই নাড়ির টানে বাড়ি ফেরার প্রতিযোগিতা। মা-বাবা, ভাই-বোনদের সঙ্গে একটু সময় কাটাতেই যেন মানুষের এ ছুটে যাওয়া। তাই তো পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদুল আজহা উদযাপন করতে তীব্র গরম ও যানজট উপেক্ষা করে নদীপথে ঘরমুখী হাজার হাজার মানুষ বাড়ি ফিরছে।
পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাজধানী থেকে চাঁদপুরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। প্রতি বছরের মতো এবারও ঘরমুখো মানুষ বেছে নিয়েছে চাঁদপুরের নদীপথ। এতে চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনালে বেড়েছে মানুষের ভিড়। যাত্রীদের হয়রানিমুক্ত রাখতে বারবার মাইকিং করছে নৌ-পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ড। যাত্রী নিরাপত্তা এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে লঞ্চ সার্ভিস আরও আধুনিক করার দাবি জানান যাত্রীরা।
লঞ্চ যাত্রী আল আমিন বলেন, ঢাকা-চাঁদপুর লঞ্চ শিডিউল বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এছাড়া ভাড়া কমানো হচ্ছে না। যার কারণে অনেকে সড়কপথে গন্তব্যে যাচ্ছে। আমাদের দাবি ভাড়া কমানোসহ যাত্রী নিরাপত্তা আরও জোরদার করা।
লঞ্চ পরিচালনা প্রতিনিধি দ্বীন মো. জিল্লু বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় পর থেকে লঞ্চযাত্রীতে ভাটা পড়েছে। একদিকে যাত্রী কম, অন্যদিকে লঞ্চের খরচবৃদ্ধি পাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছে লঞ্চের মালিকরা। যাত্রী বাড়লে লঞ্চের শিডিউল আর পরিবর্তন হওয়ার সম্ভবনা নেই। এছাড়া ঈদে সবসময়ই আমাদের যাত্রীসেবায় বাড়তি নিরাপত্তা থাকে।
চাঁদপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেট ও ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি পৌরসভার পক্ষ থেকে আমরাও যাত্রী সেবায় কাজ করে যাচ্ছি। সিএনজি, অটোরিক্সা চালকরা যাতে যাত্রীদের হয়রানী করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখছি এবং চালদের সতর্ক করে দিচ্ছি।
চাঁদপুর নৌ-থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান জানান, যাত্রীসেবায় চাঁদপুর লঞ্চঘাটে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। এছাড়া শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সিসি ক্যামেরার পাশাপাশি রয়েছে নৌ-পুলিশের ভ্রাম্যমাণ দল। যাত্রীরা যাতে নির্বিঘেœ বাড়ি ফিরতে পারে সে লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
২৭ জুন, ২০২৩।