সৌদি আরবে আইজিসিএসই পরীক্ষায় বিশ্বসেরা বাংলাদেশের তিন ছাত্রী

ইলশেপাড় রিপোর্ট :
বিশ্বসেরা তিন শিক্ষার্থীকে সম্মানিত করলো বিআইএসইএস। আরব-আঞ্চলিক দেশগুলোতে মাতৃভাষা বাংলার গৌরব ছড়িয়ে দিলেন বাংলাদেশের তরুণীরা। সৌদি আরবে ইন্টারন্যাশনাল জেনারেল সার্টিফিকেট অব সেকেন্ডারি এডুকেশন (আইজিসিএসই) পরীক্ষায় বিশ্বসেরা হয়েছেন বাংলাদেশের তিন ছাত্রী।
আইজিসিএসই পরীক্ষায় ২০১৭ শিক্ষাবর্ষে গণিতে বিশ্বসেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ইংরেজি শাখার (বিআইএসইএস) একাদশ শ্রেণির ছাত্রী নাবিহা হোসেন। গোটা সৌদি আরবের আন্তঃস্কুল ফলাফলেও প্রথম স্থান অধিকারের কৃতিত্ব দেখিয়েছেন তিনি।
বিআইএসইএস-এর একাদশ শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থী নুসাইবা আমিনও গণিতে বিশ্বসেরা হয়েছেন। পুরো সৌদি আরবের শিক্ষার্থীদের টপকে পরীক্ষায় সর্বোচ্চ স্থান দখল করেন তিনি।
এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের আন্তর্জাতিক জিসিএসই এডেক্সেল শিক্ষাক্রম পরীক্ষায় বাংলায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দশম শ্রেণির ছাত্রী জারিন তাসমিন। সে পড়াশোনা করছে বিআইএসইএস-এর ব্রিটিশ কারিকুলাম ইংরেজি শিক্ষা মাধ্যমে।
গত ১ নভেম্বর সকালে এক সমাবেশে তিন জনকে বিআইএসইএস’র পরিচালনা পর্ষদের পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ডা. আবুল বাশার মো. নূরুজ্জামান।
নিষ্ঠা, অভিজ্ঞান ও কঠিন অধ্যাবসায় থাকলে এ ধরনের গৌরবান্বিত ফল করা সম্ভব বলে মনে করেন বিআইএসইএস অধ্যক্ষ মো. বজলুর রশিদ। এ সময় আরও ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ মো. মাহবুবুর রহমান ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা।
ক্রেস্ট তুলে দেয়ার সময় তিন কৃতী শিক্ষার্থীকে অভিনন্দন জানান পর্ষদ চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘বিআইএসইএস’র জন্য এটি সর্বোচ্চ অর্জন। এর মধ্য দিয়ে অন্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিশ্বজয়ের আগ্রহ তৈরি হতে পারে।
বিআইএসইএস চেয়ারম্যান আরও বলেন, শিক্ষার মানোন্নয়নে আমাদের পরিশ্রম ও শিক্ষকদের আন্তরিক চেষ্টা আরও একবার প্রমাণ করলো, বিআইএসইএস’র শিক্ষার্থীরা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সবদিক দিয়ে এগিয়ে।
ক্রেস্ট হাতে পেয়ে আবেগাপ্লুত হন তিন ছাত্রী। উচ্চশিক্ষায় আরও ভালো ফল অর্জন করে দেশের মুখ উজ্জ্বল রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তারা। তিন জনই কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, পর্ষদ-কর্মকর্তা ও অভিভাবকদের।
এ বছর ২০১৭ মে-জুন সেশনে সৌদি আরবের রিয়াদ থেকে আইজিসিএসই পরীক্ষায় অংশ নেয় বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ইংরেজি শাখার ৬০ ছাত্র এবং ৪০ ছাত্রী মিলিয়ে মোট ১০০ শিক্ষার্থী। নিজেদের তত্ত্বাবধানে এই পরীক্ষা পৃথক পৃথক দেশে তদারকি করে থাকে ব্রিটিশ কাউন্সিল।