হাইমচরে সংঘর্ষে আহত ৬, আটক ২


হাইমচর ব্যুরো
হাইমচর উপজেলার চরভাঙ্গা গ্রামে জুনিয়র-সিনিয়র নিয়ে সংঘর্ষে একই পরিবারের ৩ জনসহ ৬ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় চাঁদপুর সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে হাইমচর থানার এএসআই মোবারক হোসেনও আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় রক্তমাখা হকিস্টিকসহ ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ নিয়ে হাইমচর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে চরভাঙ্গা গ্রামের খলিলের ৮ম শ্রেণি পড়–য়া ছেলে ফয়েজ (১৬) এলাকার অপর এক ছেলের সাথে জুনিয়র-সিনিয়র নিয়ে তর্ক হয়। এ নিয়ে পার্শ্ববর্তী ইউনুছ পাটওয়ারীর কলেজ পড়ুয়া ছেলে ফুয়াদের সাথে তার বাকবিতন্ডা হয়। গতকাল রোববার বেলা ১২টায় ফয়েজ মাদরাসা হতে ৮ম শ্রেণির মডেল টেস্ট দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে তাকে মারধর করে ফুয়াদ। পরে ফুয়াদ দলবল ও দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে ফয়েজদের বাড়িতে হামলা করে। হামলায় ফয়েজের বাবা খলিল (৫৫), চাচা জহির (৩৫), ফয়েজ (১৬), ফুয়াদ পাটওয়ারী (২২), শুভ পাটওয়ারী (২২) ও এমরান (২৮) আহত হয়।
সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে হাইমচর থানার এএসআই মোবারক হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেণ। এসময় এএসআই মোবারকও আহত হন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা হকিস্টিকসহ ২ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে হাইমচর থানার এএসআই মোবারক হোসেন জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। ঘটনাস্থল থেকে আমি রক্তামাখা হকিস্টিকসহ ২ জনকে আটক করি এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানোর ব্যবস্থা করি। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
আহত খলিলের ছোট ভাই মিজান বলেন, ফুয়াদ তার দলবলসহ অস্ত্র নিয়ে আমাদের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। আমার ভাইকে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে তার কাছে থাকা ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়। তাদের হামলায় আমার ছোট ভাই জহির ও ভাতিজাসহ বাড়ির ৬/৭জন আহত হয়েছে। এ ব্যাপারে হাইমচর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।

০৭ অক্টোবর, ২০১৯।