হাইমচরে ৮ জেলেকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা

হাইমচর ব্যুরো
হাইমচরে কোস্টগার্ড ও মৎস্য বিভাগের যৌথ অভিযানে ইলিশ নিধনকালে মেঘনা নদী থেকে ৮ জেলেকে আটক করা হয়েছে। আটক প্রত্যেক জেলেকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করে ছেড়ে দেয়া হয়। সোমবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌসী বেগম ভ্রাম্যমাণ আদলত বসিয়ে জেলেদের জরিমানা করেন।
এদিকে হাইমচরের ৮ জেলেকে ১ বছর করে সাজা দেয়া হয় গত রোববার। কিন্তু গতকাল সোমবার হরিণা এবং বহরিয়ার জেলেদের জরিমানা করে ছেড়ে দেয়ায় জেলেদের মাঝে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। জরিমানা করায় প্রশাসনও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে চলছে হাইমচরে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।
গতকাল সোমবার ভোর ৪টায় হাইমচর কোস্টগার্ডের মাস্টার চীপ পেটি অফিসার মো. ইছহাক আলীর নেতৃত্বে ও কোস্টগার্ড পেটি অফিসার এমদাদের পরিচালনায় কোস্টগার্ড ও উপজেলা মৎস্য বিভাগ মেঘনায় জাতীয় সম্পদ ইলিশ রক্ষায় অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান চলাকালীন সময়ে মেঘনায় চাঁদপুর সদর উপজেলার বহরিয়া ও হরিণা এলাকার জেলেরা মাছ নিধনকালে ৮ জেলেকে আটক করেন। এছাড়া ২ লাখ ৫০ হাজার মিটার জালসহ ৭০ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করেন। আটক জেলেদের উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে প্রেরণ করা হয়। জব্দকৃত জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। জব্দকৃত মাছ স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।
আটক জেলেদের উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌসী বেগম ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করে প্রত্যেককে ছেড়ে দেন।
স্থানীয় কয়েকজন জেলে নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, যে জেলেরা বহর নিয়ে হাইমচরের মেঘনায় মাছ নিধন করে, যাদের কাছে প্রশাসন পর্যন্ত অসহায়, আজ তারা আটক হলেও ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে ছাড় পেয়ে যায়। তারা বুকভরা সাহস নিয়ে মেঘনায় আবার মাছ শিকার করবে, আমরা নিশ্চিত। অথচ, রোববার আমাদের এলাকার ৮ জন জেলে এই নদীতেই মাছ শিকার করতে গিয়ে আটক হলে তাদের ১ বছর করে সাজা প্রদান করেন। তাহলে আমাদের জন্যই কি মাছ ধরা নিষেধ? তাদের জন্য কি বৈধ? জেলেদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হলো ইলিশ রক্ষা অভিযান।
২০ অক্টোবর, ২০২০।