হাজীগঞ্জে বিএনপির ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভা


বিএনপির জনসমর্থন আ.লীগ ধরে রেখেছে   …………সাবেক পৌর মেয়র আব্দুল মান্নান খান বাচ্চু
হাজীগঞ্জ ব্যুরো
হাজীগঞ্জে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। উপজেলা ও পৌর বিএনপির আয়োজনে গতকাল রোববার বিকালে দলটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা, মিলাদ, মাহফিল ও দোয়া এবং কেক কাটা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র আলহাজ আব্দুল মান্নান খাঁন বাচ্চু।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা। তিনি এ দেশে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছেন। সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বজায় রেখেছেন। অথচ আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে সেই গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। যেমনি শেখ মুজিবুর রহমান বাকশালের মাধ্যমে এদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছেন। তারা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক জিয়াসহ দলের সব নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা দিয়ে নির্যাতন করছেন।
তিনি আরো বলেন, কোন ষড়যন্ত্রই কাজে আসবে না। আওয়ামী লীগ বহু চেষ্টা করেছে, কিন্তু বিএনপি ভাঙে নাই উল্লেখ করে আলহাজ আব্দুল মান্নান খাঁন বাচ্চু বলেন, বিএনপির জনসমর্থন আওয়ামী লীগ ধরে রেখেছে। টিভি এবং সংবাদপত্রে দেখা যাচ্ছে, প্রায় প্রতিদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাদের দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়েদুল কাদেরসহ নেতৃবৃন্দ বিএনপির বিরুদ্ধে বক্তব্য দিচ্ছেন। এমনকি মৃত্যুর পরেও শহীদ জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধাচরণ করছেন। এতে বিএনপির জনসমর্থন বাড়ছে। কারণ দেশের মানুষ সব কিছুই বুঝে। তাই তারা বিএনপির জনপ্রিয়তা ইর্ষান্বিত হয়ে, বিএনপিকে কোন রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে দিচ্ছে না।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক ইঞ্জি. মমিনুল হকের বাড়িতে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মোজাম্মেল হক চৌধুরী মোহন সাংবাদিকদের প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেন, বিএনপি কি নিষিদ্ধ দল? কেন তারা দলীয় কর্মসূচি পালনে অনুমতি পাচ্ছে না। কর্মসূচির অনুমতির জন্য থানায় গেলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেন নেতৃবৃন্দের ছবি তুলে রাখছেন? তারাতো চোর-ডাকাত নয়, যে তাদের ছবি তুলে রাখতে হবে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
নেতৃবৃন্দকে এক ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অনৈক্য আমাদের পিছিয়ে দিচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে, আগামি দিনের আন্দোলন-সংগ্রামে সফলতা আসবে না। আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত করতে হলে এবং আমাদের হামলা-মামলা ও নির্যাতন থেকে রেহাই পেতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে থাকতে হবে। দলের শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে।
উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক মোল্লা মাহমুদ হোসেনের পরিচালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মো. আবুল বাসার, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক আব্দুর রহমান মিয়াজী প্রমুখ। সভার শুরুতেই কোরআন তেলাওয়াত করেন কালচোঁ উত্তর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম। বক্তব্য শেষে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন নেতৃবৃন্দ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মনির, এমএ রহিম পাটওয়ারী, আবু সুফিয়ান রানা, এমএ নাফের শাহ্, সেলিম হোসেন দুলাল, তাজুল ইসলাম পাটওয়ারী, পৌর বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক আবুল খায়ের মজুমদার, নাজমুল আলম চৌধুরী, হেলাল মজুমদার, নাদিম উল্যাহ নাদিম, উপজেলা যুবদলের সভাপতি আকতার হোসেন দুলাল, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির সুমন, পৌর যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক বিল্লাল হোসেন পাটওয়ারী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব বিল্লাল হোসেল বেলাল, পৌর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শাহাব উদ্দিন শাবু, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক আবু সায়েম মিয়াজী, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব শাহিন মজুমদার, পৌর শ্রমিক দলের সভাপতি রাশেদ আলম হীরা, সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানাসহ উপজেলা ও পৌর বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দলসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা।

০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯।