হাজীগঞ্জে যুবদল, ছাত্রলীগ ও পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলায় আটক ৭

মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্ :
হাজীগঞ্জে যুবদল, ছাত্রলীগ ও পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা (নং-১৮) দায়ের করা হয়েছে। গতকাল রোববার সবুজ নামের এক ছাত্রলীগ নেতা বাদী হয়ে হাজীগঞ্জ থানায় এ মামলাটি করেন। মামলায় ৫৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৪০/৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। দায়েরকৃত মামলায় কাদের নাম রয়েছে তা জানা না গেলেও আসামি করা হয়েছে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের।
শনিবার হাজীগঞ্জে যুবদলের ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে যুবদলের নেতাকর্মীদের সাথে ছাত্রলীগ ও পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় মাইনুদ্দিন নামের পুলিশের একজন উপ-পরিদর্শকসহ পুলিশ, যুবদল ও ছাত্রলীগের কমপক্ষে ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়। পুলিশ সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ, ৫৫ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ও ১৪ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় পুলিশ ৭ জনকে আটক করে রোববার জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে।
আটকরা হলো- উপজেলার ৫নং হাজীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের বাড্ডা গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে মো. হান্নান (৩৮), বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের নোয়াদ্দা গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে জহিরুল ইসলাম (৩০), একই ইউনিয়নের রায়চোঁ গ্রামের ওমেষ চন্দ্র দাসের ছেলে মিন্টু (৩৫), পৌরসভাধীন রান্ধুনীমূড়া গ্রামের আলম মিয়ার ছেলে রাজু (২১), একই গ্রামের ইউছুফ মিয়ার ছেলে ইসমাঈল হোসেন (২৫), মকিমাবাদ গ্রামের মো. মনির হোসেনের ছেলে মোজাম্মেল হোসেন (১৫) ও ফরিদগঞ্জ উপজেলার সিদ্দিকুজ্জামানের ছেলে মো. সাজিদ (১৮)।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জাবেদুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় সবুজ নামের এক ছাত্রলীগ নেতা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এ ঘটনায় ৭ জনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলাহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে।