নিজেদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি না করে জনগণের উপর রায় ছেড়ে দিন
……জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান
এস এম সোহেল
৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ উপলক্ষে নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন সংক্রান্ত (চাঁদপুর সদর, হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তি) অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৬ মে) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ৩ উপজেলার প্রার্থীদের নিয়ে অবহিতকরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান।
তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ড বা ইউনিয়নে প্রচার-প্রচারণার কাজে একটি মাইক ব্যবহার করতে পারবেন। তবে জনসভার ক্ষেত্র ৪টি মাইক ব্যবহার করতে পারবেন। আচরণবিধি সব প্রার্থীকে মেনে চলতে হবে। সবার সহযোগিতায় আমরা একটি মডেল নির্বাচন করবো।
তিনি আরো বলেন, প্রার্থীরা ইভিএম’র প্রতিক বানিয়ে প্রচার করতে পারেন। এতে করে ইভিএম’র ব্যবহার সম্পর্কে ভোটাররা জানবে। প্রার্থীদের এজেন্টদের সামনে মোট কত ভোট হয়েছে তা মেশিনের ডিসপ্লেতে দেখা যায়। আর সব তথ্য একটি মেমোরিতে সংরক্ষণ থাকে। ভোটারদের নিয়ে উদ্ধুদ্ধকরণ সভা করা হবে। প্রার্থীরা বেশি বেশি ভোটারদের কাছে যাবেন। নিজেদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি না করে, জনগণের উপর রায় ছেড়ে দিন। এবছর প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের ভোটারদের জন্য পানির ব্যবস্থা করার জন্য বলা হবে। নির্বাচনে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, সব প্রার্থী প্রতিদিনের প্রচারণার তালিকা করে ফেলুন। কোথায় কখন সভা হবে তার তালিকাটি নিকটস্থ থানায় জমা দিন। তাহলে কোনো সমস্যা হলে পুলিশ আপনাকে সহযোগিতা করতে পারবে। আমরা নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য কাজ করবো। কোন পুলিশ সদস্য অন্য প্রার্থীকে বেশি সুবিধা দিচ্ছে। এমন অভিযোগ থাকলে জানাবেন, ব্যবস্থা নেব। নির্বাচনে পুলিশ নিরপেক্ষ কাজ করবে। এটি একটি আদর্শ নির্বাচন হবে। আর জনগণের ভোটের রায়ে প্রার্থী নির্বাচিত হবে।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচন আচরণবিধি সম্পর্কে আপনার কর্মী-সমর্থকদের জানাবেন। আর তাদের জন্য প্রার্থী অভিযুক্ত হতে পারেন। ফৌজদারি অপরাদের দায়দায়িত্ব প্রার্থীদের নিজেকেই নিতে হবে। নির্বাচনের দিন এজেন্টকে কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয় না, বের করে দেয়া হয় এমন অভিযোগ থাকে। প্রার্থীরা আমাদের জানাবেন, আমরা আমাদের গাড়িতে করে এজেন্টদের পৌঁছে দেব। আবার কারা কক্ষে ঢুকতে দিচ্ছেন না প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ তোফায়েল হোসেন বলেন, ইভিএম এ আগে ভোটদানের কোন সুযোগ নেই। ভোটদান বা ফলাফল নিয়ে কোন অভিযোগ থাকলে তা প্রিজাইডিং অফিসার সমাধান করবেন। হঠাৎ যদি কোন মনিটর বন্ধ বা ভেঙ্গে যায়। তাহলে রিকভার করে ফলাফল জানা যাবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও রিটার্নিং অফিসার বশির আহমেদের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন এনএসআই’র উপ-পরিচালক দেওয়ান মোহাম্মদ মনোয়ার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাখাওয়াত জামিল সৈকত, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহ, হাজীগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী হেলাল উদ্দিন, শাহরাস্তি উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মুকবুল হোসেন পাটওয়ারী, সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হারুন হাওলাদার, এবিএম রেজওয়ান, শাহরাস্তি উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু সুফিয়ান মজুমদার ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হাসিনা বেগম।
সভার শুরুতে নির্বাচনী আচরণবিধি সম্পর্কে ভিডিও ডকুমেন্টারি তুলে ধরেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইকরামুল সিদ্দিক।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী আইয়ুব আলী বেপারী, অ্যাড. হুমায়ুন কবির সুমন ও মিজানুর রহমান কালু ভূঁইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল হায়দার সংগ্রাম এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রেবেকা সুলতানা মুন্না ও শিপ্রা দাসসহ অন্যরা।
০৭ মে, ২০২৪।
