হাজীগঞ্জে হোটেল শ্রমিকের বসতঘর পুড়ে ছাই

মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্
হাজীগঞ্জে এক হোটেল শ্রমিকের বসতঘর ভস্মীভূত হয়েছে। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার দ্বাদশগ্রাম ইউনিয়নের ইছাপুরা গ্রামের বকাউল বাড়িতে অগ্নিকান্ডের এই ঘটনা ঘটে। আগুনে বসতঘর ও ঘরে থাকা সবকিছু পুড়ে নিঃস্ব হয়েছেন ওই বাড়ির আব্দুল গফুর বকাউলের ছেলে সফিকুল ইসলাম বকাউল। ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক সর্ট-সার্কিটের আগুনে বসতঘরটি পুড়ে যায়।
জানা গেছে, এ দিন রাতে হঠাৎ করে সফিকুল ইসলামের বসতঘরটিতে আগুন দেখে বাড়ির লোকজন ও স্থানীয়রা আগুন নিভানোর চেষ্টা করে। কিন্তু আগুনের লেলিহান শিখার কাছে সবাই ছিলেন অসহায়। মাত্র আধাঘণ্টার মধ্যে বসতঘরটি ভস্মীভূত হয়। এতে ঘরে থাকা আসবাবপত্র, তৈজসপত্র, স্বর্ণালংকার, জামা-কাপড়, নগদ টাকা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ সবকিছু পুড়ে প্রায় ৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত সফিকুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি ঘরটি তালাবদ্ধ করে স্ত্রী-সন্তানসহ অসুস্থ এক আত্মীয়কে দেখতে যান। এরপর রাতে আগুনের খবর পেয়ে বাড়িতে এসে দেখেন ঘরটি পুড়ে গেছে। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, মাত্র ৬ মাস আগে ঋণসহ ধার-দেনা করে চৌকাঠের বসতঘরটি নির্মাণ করেছি। এখনো ঋণ ও দেনার টাকা পরিশোধ হয়নি। অথচ ঘরটি পুড়ে পরনের কাপড় ছাড়া কিছুই রইলো না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মোশারফ হোসেন জানান, হোটেলে বাবুর্চির কাজ করেন সফিকুল ইসলাম। বাবা-মা, স্ত্রী ও ৪ সন্তানের জীবিকা নির্বাহ করেন। মাত্র ৫/৬ মাস আগে বসতঘরটি নির্মাণ করেছেন। গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে ঘরটি পুড়ে গেছে। তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসে খবর দিয়েছি। কিন্তু হাজীগঞ্জ থেকে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ইছাপুরা আসতে আধাঘণ্টা থেকে পৌনে এক ঘণ্টা সময় লাগে। এর মধ্যেই ঘরটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।
ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের প্রধানীয়া জানান, সফিকের ঘরটি এমনভাবে পুড়েছে তাদের পরনের কাপড় ছাড়া কিছুই রইলো না। বিষয়টি আমি ইউএনও মহোদয়কে জানিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপস শীল বলেন, উপজেলা প্রশাসন থেকে সহযোগিতা করা হবে।

২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪।