ভোগান্তিতে ৩ গ্রামের মানুষ
এস এম সোহেল
চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কোটরাবাদ বেরিবাঁধ থেকে আরাজিবালিয়া খাল পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তার বেহালদশা। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার বেহালদশার কারণে এলাকাবাসীর দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই রাস্তা দিয়ে কোটরাবাদ, শ্রীরাপুর ও রামদাসদী এ তিনটি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করলেও এক যুগ ধরে সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে প্রথমবারের মতো রাস্তাটি পিচ ঢালাই করা হয়। এরপর থেকে দীর্ঘ ১২ বছর পার হলেও কোনো সংস্কার কাজ হয়নি। ফলে খানাখন্দে ভরা এই রাস্তা বর্ষার সময় আরও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। অসংখ্য গর্তের কারণে যানবাহন চলাচল প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় রাস্তার বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে, যা যাতায়াতের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। একটু বৃষ্টি হলেই কাদায় একাকার হয়ে যায়, ফলে শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের চলাচল অত্যন্ত দুরূহ হয়ে পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দা ফারুক মোহাম্মদ নোয়াইম বলেন, এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। বিশেষ করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা বেশি কষ্ট পায়। বর্ষার সময় রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে, অথচ কেউ কোনো উদ্যোগ নেয় না। আমরা বিষয়টি নিয়ে অনেকবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে মৌখিক ও লিখিতভাবে অবগত করেছি, যাতে রাস্তার সংস্কার কাজ শুরু করা যায়। কোটরাবাদ বেরিবাঁধ থেকে আরাজিবালিয়া খাল পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার একটি ড্রেনসহ রাস্তাটি জরুরি মেরামত প্রয়োজন।
শিক্ষার্থী ফাতিহা ফারুক আভা জানান, আমাদের স্কুলে যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটির অবস্থা খুবই খারাপ। চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় রিক্সা তো দূরের কথা পায়ে হেটে যাওয়া অনেক কষ্টের। তাই রাস্তাটি মেরামত করা খুবই জরুরি।
স্থানীয় বাসিন্দা মাও. খলিলুর রহমান ও মাও. মোস্তফা কামাল, আমরা দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছি, কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না। বর্ষার সময় কাদা-মাটি আর শুষ্ক মৌসুমে ধূলাবালির কারণে হাটাও কষ্টকর হয়ে পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দা গৃহবধূ তানজিলা বেগম বলেন, কোটরাবাদ বেরিবাঁধ থেকে আরাজিবালিয়া খাল পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। প্রতিদিন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, রোগী ও সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে বর্ষার সময় কাদা-পানিতে রাস্তাটি অতিক্রম করা খুবই কষ্টকর হয়ে ওঠে।
এলাকাবাসী দ্রুত রাস্তার সংস্কার কার্যক্রম শুরুর দাবি জানিয়েছে। তারা আশা করছে, প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ শিগগিরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। যাতে ৩ গ্রামের ১০ হাজার মানুষ আর দুর্ভোগে না পড়ে।
১৩ মার্চ, ২০২৫।