রাসূল (সা.) কে নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তিমূলক পোস্ট করায়
এস এম সোহেল
চাঁদপুর মেরিন একাডেমীর শিক্ষক কর্তৃক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে রাসূল (সা.) কে নিয়ে কটূক্তি করে পোস্ট দেয়ায় আন্দোলন করেছে শিক্ষার্থীরা। গত বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও গ্রেফতারের দাবি করে প্রায় ১ ঘণ্টা চাঁদপুর-রায়পুর সড়কে অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে ওই শিক্ষকের কুশপুত্তলিকা দাহ করে। এই ঘটনায় পালিয়ে গেলেও চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষক জয়দান তনঞ্জ্যকে আটক করেছে। আটক শিক্ষক একাডেমীর ইন্সট্রাক্টরের (চলতি) দায়িত্ব পালন করছেন।
সরেজমিনে চাঁদপুর শহরতলী ইসলামপুর গাছতলা গ্রামে অবস্থিত মেরিন একাডেমীতে গিয়ে দেখা যায়, শতাধিক শিক্ষার্থী একাডেমীর আঙিনায় বিক্ষোভ করছে। এসময় একাডেমীর অধ্যক্ষ, চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), জেলা ছাত্রলীগের সভাপতিসহ অন্যান্যরা শিক্ষার্থীদের শান্ত¦না দেন এবং বিক্ষোভ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
শিক্ষার্থীরা জানায়, একাডেমীর শিক্ষক (ইন্সট্রাক্টরের চলতি দায়িত্ব) জয়দান তনঞ্জ্য আমাদের প্রিয় নবী রাসূল (সা.) কে নিয়ে কটূক্তি করে ফেসবুকে বিভিন্ন অশ্লীল, আপত্তিকর ও কোরআনের মিথ্যা ব্যাখ্যা দিয়ে পোষ্ট করেছে। আমরা পুলিশের কাছে ৩৬ পৃষ্ঠার একটি স্বচিত্র ডকুমেন্ট ফাইল জমা দিয়েছি। অবিলম্বে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।
একাডেমীর অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আকরাম আলী জানান, নবীজী (স.) কে নিয়ে কটূক্তি জঘন্যতম অপরাধ। আমরা শিক্ষার্থীদের অভিযোগ গ্রহণ করেছি। ঘটনাটি তদন্ত করে শিক্ষক জয়দানের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অধ্যক্ষ মো. আকরাম আলী জানান, সকালে এসে দেখি একাডেমীর বিভিন্ন কক্ষে তালা। শিক্ষক জয়দান নাকি তার ফেসবুকে রাসূল (সা.) কে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য লিখেছেন। আমি ওই বক্তব্যগুলো ডাউনলোড করে আমাকে দিতে বলেছি। সেগুলো পেলে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ইবরাহিম খলিল জানান, শিক্ষার্থীদের অভিযোগ শুনেছি। এ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করেছি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা করা হবে।