চাঁদপুর লঞ্চ ঘাটে যাত্রী হয়রানি রোধে সিএনজি রাখার সাইনবোর্ড

পুলিশ সুপারকে লঞ্চ যাত্রীদের অভিনন্দন


মানিক দাস
চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিণাল ঘাটে দীর্ঘদিন ধরে যাত্রীরা হয়রানির শিকার হয়ে আসছিলেন। এ বিষয়ে গত কয়েকদিন আগে চাঁদপুরের কয়েকটি স্থানীয় পত্রিকাগুলোকে বিষদভাবে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। এ সংবাদের প্রেক্ষিতে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মো. জিহাদুল কবির যাত্রী হয়রানির বিষয়টি জানতে পেরে তা রোধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করেছেন। যার ফলে পুলিশ সুপারের নির্দেশে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ লঞ্চ টার্মিনাল ঘাট এলাকায় একটি পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন।
পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির বিপিএম পিপিএম কয়েকদিন আগে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। তখন তিনি অভিব্যাক্তি ব্যক্ত করে বলেন, আমি স্থানীয় পত্রিকাগুলোতে চাঁদপুরের লঞ্চ ঘাটে যাত্রী হয়রানির বিষয়টি উপলব্ধি করেছি। আমি এই লঞ্চ টার্মিনাল ঘাটের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে আপনাদের সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি। এই সভা শেষে তিনি এএসপি সদর সার্কেল জাহিদ পারভেজ চৌধুরীর নেতৃত্বে সিএনজি স্কুটার ও অটো বাইক চালকদের নিয়ে লঞ্চ ঘাট এলাকায় সচেতনতার বিষয়ে আলোচনা করেন।
পরবর্তীতে পুলিশ সুপার জিহাদুল কবিরের নির্দেশে যাত্রী হয়রানি রোধে সকাল থেকে রাত অবদি পর্যন্ত চাঁদপুর মডেল থানার পুলিশের একটি টিম মনিটরিংয়ের জন্য নিয়োজিত রাখেন। গত ৪/৫ দিন পূর্বে পুলিশ সুপারের নির্দেশ মতে টার্মিনাল ঘাট এলাকায় সিএনজি স্কুটার চালকদেরকে সচেতন করে কোন কোন সড়কে চলাচলকারী সিএনজি স্কুটার কোথায় দাঁড়াব সেই সাইন বোর্ড সাটিয়ে দেয়া হয়ছে। সাইনবোর্ডগুলোর মধ্যে রয়েছে মতলব, ফরিদগঞ্জ, রায়পুর-লক্ষীপুর, রামগঞ্জ-সোনাইমুড়ি, হাজীগঞ্জ, আলগী বাজার ও অন্যান্য। এই সাইনবোর্ড সাটানোর পর এখন যে সাইনবোর্ডের পিছনে সেসব সড়কের চলাচলকারী সিএনজি স্কুটারগুলো লঞ্চ যাত্রীদের অপেক্ষায় দন্ডায়মান থাকছে। কোন চালকই এখন আর পন্টুনের ভেতর প্রবেশ করতে পারছে না। তাছাড়া ব্যাটারি চালিত অটোবাইকগুলো নির্দিষ্ট স্থানে থাকার জন্য জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে রোড বেকার স্থাপন করে দেওয়া হয়েছে।
গতকাল শনিবার চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনাল ঘাটে গেলে সাধারণ যাত্রীরা জানায়, আমরা এখন আর সিএনজি স্কুটার ও অটো বাইক চালকদের দৌরাত্ম্যের রোষাণল থেকে মুক্তি পেয়েছি। এখন আর লঞ্চ থেকে নেমে কেউ আমাদেরকে গন্তব্যে যাওয়ার জন্য টানা হেচড়া করছে না। আমরা নির্বিঘেœ লঞ্চ থেকে নেমে যেথায় যাব সেখানকার গাড়িতেই উঠতে পারছি। এজন্য চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মো. জিহাদুল কবিরকে আমরা লঞ্চ যাত্রীরা শুভেচ্ছা জানাই। এ শৃঙ্খলা যেন সবসময় বিরাজ করে সেদিকে পুলিশ প্রশাসন দৃষ্টি দিলেই চলবে।