প্রযুক্তির সাহায্যে চাঁদপুরের মানুষ চাঁদের মতো আলোকিত হবে
………………….. তথ্য কমিশনার সুরাইয়া বেগম
এস এম সোহেল
প্রতিটি নাগরিকের তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে জানা প্রয়োজন উল্লেখ করে তথ্য কমিশনার সুরাইয়া বেগম এনডিসি বলেছেন, নাগরিকদের ওপর প্রয়োগ করতে দেশে ১১০০ আইন রয়েছে। এর মধ্যে মানুষ শুধুমাত্র তথ্য অধিকার আইনের প্রয়োগ করে। গতকাল মঙ্গলবার চাঁদপুর সদর উপজেলা প্রশাসন ও তথ্য কমিশনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন।
এ সময় তথ্য কমিশনার সুরাইয়া বেগম বলেন, প্রযুক্তির সাহায্যে চাঁদপুরের মানুষ চাঁদের মতো আলোকিত হবে প্রত্যাশা করছি। বাংলাদেশ এখন তথ্য প্রযুক্তি দেশ হিসেবে সারা বিশ্বে পরিচিতি লাভ করেছে। তথ্য অধিকার আইনে আমাদের বাধ্যতামূলক তথ্য প্রদান করতে হবে। শুধুমাত্র রাষ্ট্রের ক্ষতি হবে বা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হবে এমন তথ্য ছাড়া। এই আইনের দ্বারা জনগণকে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট ফরমে আবেদন করার ক্ষেত্রে জনগণ সকল তথ্য পাবেন। সেক্ষেত্রে ২০ কর্মদিবসের মধ্যে তথ্য পাবেন। যেদিন প্রতিটি নাগরিক তথ্য অধিকার আইন প্রয়োগ করতে পারবে। সেদিন তাদের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটবে। তখন এ তথ্য অধিকার আইন প্রতিষ্ঠা সফল হবে। এ সময় তিনি তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।
তিনি আরো বলেন, আজ বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে সারা বিশ্বের দরবারে। আমি স্মরণ করছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানকে। কারণ তিনি চেয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের অধিকার বাস্তবায়ন করার জন্য। একটি সুন্দর সমৃদ্ধশীল বাংলাদেশ গড়ার জন্য। আজ ও নারী সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন মাননীয় শেখ হাসিনা আজ ওনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এ তথ্য প্রযুক্তির বিভিন্নভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রাম-গঞ্জসহ এখন সর্বস্থানে তথ্য প্রযুক্তির সেবা পাচ্ছে বাংলার জনগণ। তাই আসুন আমরা সবাই সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশকে একটি ভালো অবস্থানে নিয়ে যেতে চাই। সেজন্য দরকার আমাদের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও দুর্নীতিমুক্ত হওয়া।
চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. জামাল হোসেন, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক লক্ষণ চন্দ্র সূত্রধর, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত চক্রবর্তী, সিনিয়র সহকারী সচিব হেদায়েত উল্লাহ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবীবা মীরা প্রমুখ। প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, সাংবাদিক ও এনজিও’র ৬০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।