এস এম সোহেল
সামাজিক অবক্ষয়কে পেছনে ফেলে নতুন ও মঙ্গল কামনায় নতুন বছরকে বরণ করে নিয়েছে বাঙালি। সারাদেশের মতো চাঁদপুরেও জেলা প্রশাসনের ব্যাপক আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হলো পয়লা বৈশাখ, বর্ষবরণ উৎসব-১৪৩২ বঙ্গাব্দ। আনন্দ শোভাযাত্রা ও বেলুন উড়িয়ে বৈশাখকে আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের ধারাবাহিকতায় গত সোমবার সকাল ১০টায় চাঁদপুর স্টেডিয়াম মাঠ থেকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন, পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব, জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের নেতৃত্বে শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রায় শহরের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, স্কুল কলেজ, সাংষ্কৃতিক সংগঠন বর্ণিল সাঁজে সেঁজে অংশগ্রহণ করে।
শোভাযাত্রাটি চাঁদপুর স্টেডিয়াম মাঠ থেকে থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে চাঁদপুর সরকারি কলেজে গিয়ে শেষ হয়।
শোভাযাত্রার আগে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, পহেলা বৈশাখ শুধুমাত্র নববর্ষ নয়, এটি আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি। এই দিনে আমরা জাতিসত্ত্বা ও নিজেদের সংস্কৃতি ফুটিয়ে তুলবো। অসম্প্রদায়িক চেতনা বেশি কোন দেশ যদি ধারণ করে, সেটি বাংলাদেশ। কারণ এই উৎসবে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবারই অংশগ্রহণ রয়েছে। আর এটাই হচ্ছে আমাদের অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষণ।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাখাওয়াত জামিল সৈকতের পরিচালনায় অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব ও জেলা বিএনপি সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক।
এছাড়া নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের নানা কর্মসূচির মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য আয়োজন হচ্ছে- ডাকাতিয়া নদীর তীর সংলগ্নে ঘুড়ি উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এভাবেই বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ১৪৩২ নববর্ষের দিনব্যাপি বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। এছাড়া বাঙালি ব্যবসায়ীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে শুভ সকালে অনুষ্ঠিত হবে শুভ হালখাতা ও গদি সাইদ। এদিন ব্যবসায়ীরা পুরানো খাতার হিসেব-নিকেশ চুকিয়ে নতুন খাতায় ১৪৩২ বঙ্গাব্দের হিসেবের যাত্রা শুরু করবে। জড়িয়ে ধরবেন একে অপরকে ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে। কামনা করবেন নতুন বছর যেনো আনন্দঘন হয়ে উঠে সবার হৃদয়ে। এছাড়া জেলার প্রতিটি উপজেলায় ব্যাপকভাবে আয়োজন করা হয়েছে বর্ষ বিদায় ও বর্ষবরণ পালন করেছে।
১৬ এপ্রিল, ২০২৫।