স্টাফ রিপোর্টার
মার্চ-এপ্রিল দু’মাস চাঁদপুরের নদী সীমানায় জাটকা রক্ষায় জেলা টাস্কফোর্সের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান।
তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, চাঁদপুরের ইলিশ যেমন ব্র্যান্ডিং হয়েছে তেমনি জাটকা রক্ষায় জেলা টাস্কফোর্স এবার কঠোর ভূমিকা পালন করবে। এই জাটকা রক্ষা করতে পারলে মা ইলিশ রক্ষা পাবে। কোনভাবেই মার্চ ও এপ্রিল দু’মাস নদীতে কোন প্রকারের জাল ফেলতে দেয়া হবে না। প্রয়োজনে জাটকা রক্ষায় জেলা টাস্কফোর্সের পাশাপাশি র্যাব ও বিজিবি মোতায়েন করা হবে।
তিনি আরো বলেন, চাঁদপুরে মৎস্যজীবী সমিতির যেসব সদস্য রয়েছেন তাদের তালিকা আমাদের দিতে হবে। তবেই বোঝা যাবে কারা নদীতে জাটকা নিধন করতে যায়। মৎস্যজীবী সমিতির ৫১ জনের ডাটাবেজ আমরা সংগ্রহ করবো। সরকারের সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে জেলেরা তাদের চরিত্র পাল্টাচ্ছে না। সরকারি সুবিধা গ্রহণ করেও জাটকা মৌসুমে তারা নদীতে কারেন্ট জাল ব্যবহার করে জাটকা মাছ নিধন করছে।
জেলা প্রশাসক বলেন, চোর যখন চুরি করে তারা আলোতে করতে পারে না। দিবালোকেও করতে পারে না। মানুষের সামনেও করতে পারে না। তাই যেখানে জাটকা মাছ চুরি করে বিক্রি করে সেখানে আপনারা শিশুদের খেলতে দিবেন। তখন দেখবেন জাটকা চুরি করে আর সেখানে বিক্রি করবে না। প্রয়োজনে আপনারা জেলে প্রতিনিধিরা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের চেয়ারম্যানরা ভলান্টিয়ার গ্রুপ তৈরি করবেন। তবেই জাটকা নিধন বন্ধ হবে। আমরা একটি গ্রুপ তৈরি করে দিব, তারা শুধু বলবে জাটকা নিধন বন্ধ কর। রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের যেই এলাকায় জাটকা মাছ বিক্রি করা হয় সেখানে সেট তৈরি করা হবে। সেজন্য চেয়ারম্যানরা সহযোগিতা করবেন। ওই সেটে বসে আমরা নদীতে কারা মাছ ধরে তা দেখতে পারব। এ বছর বড় স্টেশন মোলহেডে জাটকা রক্ষার লক্ষ্যে পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হবে এবং এই স্থান থেকে নদীতে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল বলেন, আমরা যতোই সক্রিয় হই না কেন চোর কিন্তু চুরি করবেই। সেজন্য আমাদের আরো বেশি সক্রিয় হতে হবে। শরীয়তপুর চ্যানেলে পুলিশের তদারকি বাড়াতে হবে। কেননা এই চ্যানেলটিতে অসাধু জেলেরা অবাধে জাটকা নিধন করে। তাছাড়া পুরাণবাজার রনাগোয়াল এলাকায় বেশি বেশি অভিযান চালানো প্রয়োজন। লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের নদীর পাড় এলাকায় কয়েকটি স্থানে এই জাটকা বিক্রয় করা হয়। সেখানেও প্রশাসনের নজরদারি বৃদ্ধি করতে হবে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামানের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মো. জিহাদুল কবির, নৌ পুলিশ সুপার মো. জমশের আহমেদ, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল্লাহ বাকি, মৎস্যজীবী নেতা মানিক জমাদার, মালেক দেওয়ান, নৌকা মালিক সমিতির সভাপতি শাহআলম মল্লিক, কোস্টগার্ড স্টেশন কমান্ডার আব্দুল মালেক, রাজরাজেশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান হাজি হযরত আলী বেপারী, কল্যাণপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রনি পাটওয়ারী, মতলব দক্ষিণ উপজেলার উত্তর উপাদি ইউপি চেয়ারম্যান মো. শহিদ উল্লাহসহ অন্যান্যরা।
- Home
- প্রথম পাতা
- জাটকা রক্ষার প্রয়োজনে র্যাব-বিজিবি মোতায়েন করা হবে
Post navigation


