ফরিদগঞ্জে সম্পত্তিগত বিরোধে সেনা সদস্যকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি

স্টাফ রিপোর্টার
ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা ইউনিয়নের ইসলামপুর দলমগর মিজি বাড়িতে সম্পত্তিগত বিরোধ নিয়ে সেনা সদস্যকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে।
ওই এলাকার মৃত লোকমান হাফেজের ছেলে সেনা সদস্য খোরশেদ আলম ও তার ছোট ভাই শুকুর আলমের সাথে তার চাচাতো ভাই নাছির গাজিদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকবার এলাকায় স্থানীয় সালিসি বৈঠক করেও সমাধান হয়নি।
এক পর্যায়ে নাছির গাজির স্ত্রী ফাহিমা বেগমকে বাদী করে গত ২০ জানুয়ারি তারিখে ঘটনা দেখিয়ে ২৫ ফেব্রুয়ারি আমলি আদালতে সেনা সদস্য ও তার ভাইকে বিবাদী করে একটি মিথ্যা মারামারি মামলা দায়ের করে।
ঘটনার দিন ও তারিখে সেনা সদস্য খোরশেদ আলম চাঁদপুর শহরে অবস্থান করে। সে তখন বাড়িতে ছিলো না। কিন্তু তাকে জড়িয়ে এ মিথ্যা মামলা দায়ের করে।
ফরিদগঞ্জ বালিথুবা মিজি বাড়িতে গিয়ে জানা যায়, জামাল মিজির ছেলেদের সাথে সেনা সদস্য খোরশেদ আলম ও তার ভাইয়ের সাথে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলছিল। সম্পত্তি দখল করতে না পারায় জামাল মিজির ছেলে রবিউলকে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে ঢাকায় হাসপাতালে ভর্তি আছে বলে ফাহিমা বেগম বাদী হয়ে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। কিন্তু সেনা সদস্যের সাথে এ ধরনের মারামারির ঘটনা ঘটেনি।
রবিউল ও তার ভাই গিয়াস উদ্দিন মিজি সদর হাসপাতালের ডাক্তারের কাছ থেকে ভুয়া মেডিকেল সার্টিফিকেট এনে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে।
ঘটনার আগে ও পরে থেকেই রবিউল এলাকায় দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে সে কোন ধরনের আহত হয়নি এবং মারামারির ঘটনাও ঘটেনি। সে এবার এসএসসি পরীক্ষাও দিয়েছে এবছর। কিন্তু ঢাকা হাসপাতালে ভর্তি থাকলে সে কিভাবে পরীক্ষা দেয়?
সেনা সদস্য খোরশেদ আলম জানান, সুপরিকল্পিতভাবে আমাদের সম্মানহানি করতে ও হয়রানি করার লক্ষ্যে এই মিথ্যা মামলাটি দায়ের করেছে এবং আমার ছোট ভাইকে দীর্ঘ দুই সপ্তাহ যাবত বিনা কারণে জেল খাটাচ্ছেন। গতকাল মঙ্গলবার এই মামলার হাজিরার তারিখ থাকলেও ১নং স্বাক্ষী নুরেজ্জামানের ছেলে রবিউলকে আদালতে হাজির থাকতে বলা হলেও সে অসুস্থ বলে আদলতে হাজির হয়নি। কিন্তু বিবাদী পক্ষের লোকজন জানায়, রবিউলকে আদালতের বারান্দায় ঘুরতে দেখা যায়।
এ মামলাটি সম্পর্কে আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহদাত হোসেনের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, ডাক্তারি সার্টিফিকেট যত শক্তিশালী হবে মামলা তত শক্তিশালী হবে। সার্টিফিকেট মিথ্যে কি সত্য তা যাচাই করার দায়িত্ব আমাদের না। ডাক্তার ভুল সার্টিফিকেট দিলে তার দায়-দায়িত্ব ডাক্তারের। আদালত এ ধরনের মামলা সরাসরি এফেয়ার না করে তদন্তও দিতে পারেন। কিন্তু এ মামলাটি তদন্ত না দিয়ে সরাসরি এফেয়ার হিসেবে রুজু করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম জানায়, ঘটনার দিন সেনা সদস্য এলাকায় ছিল কিনা সেই বিষয়টি তদন্ত করছি। মেডিকেল সার্টিফিকেট যদি ভুয়া হয়ে থাকে তাহলে ডাক্তার আদালতে গিয়ে তা প্রমাণ করবে।