ইলশেপাড় রিপোর্ট
আজ ১ জানুয়ারি। ইংরেজি ২০২১ সালের প্রথম দিন। আশা-হতাশায় বিষাদময় যাত্রা শেষে বিদায় নিয়েছে ভোগান্তির ২০২০ সাল। অন্য যে কোনো বছরের চেয়ে আলাদা বিদায়ী ২০২০ সালের বছরের শেষ সূর্য ডুবেছে। বিদায়ী বছরে বিশ্বজুড়ে কভিড-১৯ জনিত রোগে লাখ লাখ মানুষের না ফেরার দেশে চলে যাওয়ার গভীর বেদনায় মানুষ মর্মাহত। একদিকে ভয়ংকর অতিমারি করোনার টিকা আবিস্কার ও তা প্রয়োগের গভীর স্বস্তি, অন্যদিকে ভাইরাসের নতুন ধরনের বিস্তারের শঙ্কা জমে আছে ২০২০-এর বিদায়ী সূর্যজুড়ে।
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে জানা যায়, গত ৩১ ডিসেম্বর সকাল পর্যন্ত বিশ্বে মহামারি করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ১৮ লাখ ৩ হাজার ৯৪২ জন। সারাবিশ্বের ৮ ৮ কোটি ২৬ লাখ ৫৫ হাজার ৯২৪ জন মানুষের শরীরে এখনও করোনার মহামারির বিষ জমে আছে। এই বিষাক্ত হাওয়ার ভেতরেই শুরু হলো নতুন বছর ২০২১। প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে হাসি-কান্না আর আনন্দ-বেদনায় চলতি বছরের শেষ পাতাটি গত ৩১ ডিসেম্বর গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার থেকে ঝরে পড়লো কালের অতল গহরে। রক্তিম সূর্য পশ্চিম দিগন্তে অস্তমিত হওয়ার মধ্য দিয়ে আরও একটি বছর মহাকালের গর্ভে বিলীন হয়ে জায়গা নিলো ইতিহাসের পাতায়। ৩১ ডিসেম্বর দিবাগত রাতের গভীর বৃন্ত থেকে বেরিয়ে আসলো ২০২১-এর আলোকিত এক সকাল। যাত্রা শুরু হলো একটি নতুন বছরের। তবে বহু যুগান্তকারী ঘটনার কারণে কোটি মানুষের স্মৃতিতে বিদায়ী বছরটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। গত বছরের ব্যর্থতা কাটিয়ে এবং সাফল্যকে ধরে রাখার প্রত্যয় নিয়ে বিশ্ববাসী বরণ করছে নতুন বছরকে।
২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহান থেকে খবর এসেছিল, করোনাভাইরাসের নতুন একটি ধরন গ্রাস করতে আসছে পৃথিবীকে। তারপর যত দিন গেছে, সেই আতঙ্ক আরও প্রবল হয়েছে। মহামারি দ্রæতগতিতে ছড়িয়ে পড়েছে চীনের সীমানা পেরিয়ে ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকা হয়ে এশিয়ার প্রায় সব দেশে। বছরের দ্বিতীয় মাসেই কভিড-১৯ মহামারিতে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয় ইউরোপের ইতালি, স্পেন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। প্রতিদিন আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকে বিশ্বের প্রায় সব দেশে। ঘরবন্দি হতে বাধ্য হয় প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার চরম শিখরে থাকা একবিংশ শতাব্দীর মানুষ।
এমন অভূতপূর্ব অবস্থার সঙ্গে পরিচিত ছিল না বিশ্ববাসী। ‘লকডাউন’ শব্দটি আগে ব্যবহৃত হয়েছে কালেভদ্রে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে। এবার মানবসভ্যতার অদৃশ্য শত্রæর সঙ্গে লড়তে ওই ‘লকডাউন’ শব্দটি বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে চর্চিত শব্দে পরিণত হলো। মার্চ মাস পর্যন্ত চীন, পূর্ব এশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে লকডাউনের খবর আসছিল। এর মধ্যে বাংলাদেশেও মার্চের শেষ থেকে কভিড-১৯-এর প্রকোপ বাড়তে থাকে। প্রতিদিন গড়ে ২৫ থেকে ৩০ জনের মৃত্যুর খবর আসতে থাকে। এ অবস্থায় এখানেও ‘লকডাউন’ ঘোষণা করা হয়। আমাদের দেশেও করোনাভাইরাসের ছোবলে সাত হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
শুধু জীবনযাপন নয়, বিশ্বব্যবস্থা বা ভূ-রাজনীতির ক্ষেত্রেও ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে ২০২০ সাল। গত এক দশক থেকে চীনের উত্থানের ফলে বিশ্ব অর্থনীতির ভরকেন্দ্র এশিয়ার দিকে চলে আসছিল। কিন্তু কভিড-১৯-এর মারাত্মক বিস্তারের পর এর টিকা আবিস্কার ও এর বিতরণ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে পশ্চিমা দেশগুলোর অবস্থান ওই ভরকেন্দ্রকে আবারও ফিরিয়ে নিতে চলেছে পাশ্চাত্যের দিকে।
করোনাভাইরাসের প্রকোপজনিত অবস্থায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও অফিস, শিক্ষপ্রতিষ্ঠানসহ দৈনন্দিন কাজে অনলাইন মাধ্যমের ব্যাপক ব্যবহার শুরু হয়। যেখানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসেও দেশে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ ব্যবহারের পরিমাণ এক হাজার জিবিপিএসের কম ছিল, সেখানে ২০২০ সালের মে-জুন মাসেই তা এক হাজার পাঁচশ জিবিপিএসে পৌঁছে যায়। ডিসেম্বর মাসে এসে এই ব্যান্ডউইথ ব্যবহারের পরিমাণ দাঁড়ায় দুই হাজার একশ জিবিপিএস।
২০২০ সাল। জীবন নিয়ে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা আর আতঙ্কের বছর। সবচেয়ে বেশী মৃত্যু দেখা এই পৃথিবীর মানুষ এ বছর যেসব অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছে তা আগের যে কোনো মহামারিকে ছাড়িয়ে গেছে। যদিও এখনও মহামারির বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছে বাংলাদেশসহ পুরোবিশ্ব। যদিও করোনার কারণে বিদায়ী বছরটিকে অনেকেই আখ্যা দিয়েছেন অভিশপ্ত বছর নামে। তাই দেখতে দেখতে কালের গর্ভে বিলীন হতে চলছে অভিশপ্ত ২০২০ সালটি। বিগত বছরগুলো থেকে খুবই আলাদা ছিল ওই বছরটি। এ বছর করোনার কারণে অনেকেই মারা গিয়েছেন। এর বাইরেও অনেকে না ফিরার দেশে চলে গেছেন। সব মিলিয়ে ২০২০ সাল নানা কারণেই আমাদের কাছে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। করোনাভাইরাসের তাÐবের পাশাপাশি এটি ছিল নক্ষত্র ঝরে পড়ার বছর। বছরটিতে আমরা হারিয়েছি বহু আলেম-ওলামা ও পীর মাশায়েখকে। যারা পৃথিবীকে আলোর পথ দেখিয়েছেন, এগিয়ে নিয়ে গেছেন মানব সভ্যতাকে। দ্বীনের অতন্দ্রপ্রহরী এসব আলেম যুগ যুগ ধরে শান্তি, কল্যাণ ও সম্প্রীতির বাণী প্রচার করে গেছেন মানুষের মাঝে। সর্বজন শ্রদ্ধেয় আল্লামা শাহ আহমদ শফী, আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী, তাবলিগের প্রবীণ মুরব্বি মাওলানা মোজাম্মেল হক, আল্লামা আযহার আলী আনোয়ার শাহ, আল্লামা আবদুল মোমিন, আল্লামা শাহ তৈয়বের ইন্তেকাল, আল্লামা তাফাজ্জুল হক হবিগঞ্জী, আল্লামা শাহ মুহাম্মদ ইদ্রিস, মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী, মাওলানা জুবায়ের আহমদ আনসারী, অধ্যক্ষ গোলাম সারোয়ার সাঈদীসহ অনেক কুর্তীমান মৃত্যুবরণ করেছেন। বলা হয়ে থাকে, ‘আলেমের মৃত্যু মানে জগতের মৃত্যু’। সে হিসেবে শীর্ষ আলেমদের এ বিদায়ের মিছিল বাংলাদেশের জন্য বিরাট শূন্যতা তৈরি করেছে।
বছরের বড় একটা সময় প্রায় সব অর্থনৈতিক তৎপরতা বন্ধ ছিল, বন্ধ ছিল আন্তর্জাতিক যোগাযোগ। পর্যটন, বিনোদন, খেলার স্থবিরতা কাটেনি এখনও। ২০২০ সালের ধাক্কা কাটাতে কত বছর লাগবে তা, সবারই অজানা। গোটা বিশ্বের শিক্ষা ব্যবস্থা বন্ধ প্রায়। অনলাইন ক্লাসেই চলছে পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা। বাংলাদেশে গত ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে খুলবে কেউ জানে না। পিইসি, জেএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। সবাই অটো প্রমোশন পেয়েছে। শুধু অর্থনীতি, শিক্ষা বা রাজনীতি নয়; করোনা প্রভাব ফেলেছে ব্যক্তিজীবনেও, ওলটপালট করে দিয়েছে মানুষের মনোজগত। দীর্ঘ লকডাউনে পারিবারিক সম্প্রীতি যেমন বেড়েছে, আবার কোথাও ঝগড়াও বেড়েছে। সংসার ভাঙার খবরও বেড়েছে। মৃত্যুভয় অনেক অবিশ্বাসীকে বিশ্বাসী বানিয়েছে, ধর্মে-কর্মে মন দিয়েছেন অনেকে। আবার প্রবল শোকে বিশ্বাসী কারও কারও বিশ্বাস হারানোর ঘটনাও ঘটেছে। করোনা বিশ্বে বৈষম্য আরও বাড়িয়েছে। মানুষ আরও গরিব হয়েছে। প্রান্তের মানুষ প্রায় ছিটকে পড়ার দশা। আবার এরই মধ্যে অল্প কিছু মানুষের আয় বেড়েছে। দুর্নীতি করে অনেকে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন। অনেকে চাকরি-ব্যবসা হারিয়ে পথে বসেছেন। করোনা আমাদের অনেককে মিতব্যয়ী বানিয়েছে। আবার অনেকে পয়সা খরচ করার রাস্তা পাননি। করোনা বৈশ্বিক মহামারির অনেক মানবিক করেছে। একজনের বিপদে আরেকজন পাশে দাঁড়িয়েছে। আবার করোনা সন্দেহে মাকে জঙ্গলে ফেলে রাখার মতো অবিশ্বাস্য অমানবিকতাও দেখেছে বিশ্ব। কালের পরিক্রমায় বিদায়ী বছরের হতাশা ও বঞ্চনাকে পেছনে ফেলে ভালো কিছু প্রাপ্তির স্বপ্ন নিয়ে মানুষ বরণ করে নেবে নতুন বছরকে। সব ধরনের স্থবিরতা কাটিয়ে নতুন বছর সবার জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল আনন্দ। দেশে ফিরে আসুক শান্তি, সমৃদ্ধি, স্বস্তি ও গতিময়তা। এমনটিই প্রত্যাশা আমাদের।
২০২০ সালের অবয়বটি বেশ দৃষ্টিনন্দন ছিল। গত বছরে কেউ কী জানত এক বিষম যাতনাকাল অপেক্ষা করছে এ বিশ্বের জন্য? করোনা নিয়ে পুরো বিশ্ব যখন ত্যক্তবিরক্ত, জীবিকার মাধ্যমে জীবন বাঁচাইতে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো যখন একে-একে সকল আর্গল খুলে দিতেছিল, তখন ব্রিটেনের করোনার নতুন স্ট্রেন নিয়ে সারা বিশ্ব পুনরায় নড়েচড়ে বসে। তবে করোনাকে আগের মতো কলকে দিতে অনেক বিশেষজ্ঞই রাজি নন। করোনা কতখানি ভয়ংকর, তার চেয়েও বড় প্রশ্ন, করোনার কারণে সৃষ্ট লকডাউন ও বিবিধ বিধিনিষেধে বিশ্বের অর্থনীতি কতখানি ক্ষতির শিকার হলো। এ ক্ষেত্রে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) প্রকাশিত ‘এশিয়া প্যাসিফিক এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল আউটলুক ২০২০’-এর প্রতিবেদনটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোতে করোনা মহামারির প্রভাবে নতুন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা অনেকটাই ভেঙে পড়ছে। চাকরিতে যারা ছিলেন, এমন লাখ লাখ মানুষের কর্মঘণ্টা কমেছে, আবার অনেকে সম্পূর্ণ বেকার হয়েছেন। করোনা মহামারি অব্যাহত থাকবার কারণে এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলে আরো ২ কোটি ২০ লাখ থেকে আড়াই কোটি মানুষ উপার্জন হ্রাসের কারণে দারিদ্র্যে পড়বে বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
অর্থাৎ নতুন বছরে এ বিশ্ব কোভিডের অর্থদংশনের ভিতর দিয়েই প্রবেশ করতে যাচ্ছে। নতুন আশার আলো অবশ্য বিজ্ঞান দেখিয়েছে। করোনার মহামারি যদি আজ থেকে সহ¯্র বছর আগে হত, তা হলে আমরা তখন বুঝতেও পারতাম না। কেনো কী কারণে জনে-জনে এভাবে অসুস্থ্য হচ্ছে। যদিও বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখার তুলনায় চিকিৎসাবিজ্ঞান এখনো পিছিয়ে আছে। তার পরও আমরা দেখিয়েছে, সারা বিশ্বই এ মহামারির সময় বিজ্ঞান ও প্রাযুক্তিক জ্ঞানকে কাজে লাগিয়েছে দারুণভাবে। অর্থাৎ যখন চারিদিকে মহামারির কৃষ্ণছায়া তাড়া করছে, তখন বিজ্ঞান তার পিদিম হাতে আমাদের পথ দেখিয়েছে। দাবি করা হচ্ছে, সব চেয়ে স্বল্পসময়ের মধ্যে করোনার একাধিক ভ্যাকসিন আবিষ্কার করা হয়েছে। যদিও ভ্যাকসিন নিয়ে বিবিধ রাজনীতি রয়েছে। বিশ্ব আর আগের মতো সহজ নয়। এমনকি করোনা ভ্যাকসিনের একটি বিশাল অর্থনৈতিক বাজারও তৈরি হয়েছে। তবে এসব বিষয় নিয়ে তর্কবিতর্ক থাকলেও একমাত্র বিজ্ঞানই যে আমাদের আঁধার ঘরের আলো জ্বালাতে পারে, এ মহামারি তা পুনরায় বুঝিয়ে দিলো।
প্রতিটি বিপর্যয়ই নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি করে। করোনার ক্ষেত্রেও তা সত্য। বিশ্বরাজনীতি নিয়ে অনেক কিছু বলবার আছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ি প্রেসিডেন্ট ডোনাল ট্রাম্পের প্রসঙ্গে দীর্ঘ নিবন্ধ হতে পারে। যদিও ট্রাম্প এখনো পরাজয় স্বীকার করেননি। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী ভোটের ফল এখন ওয়াশিংটন ডিসিতে পাঠানো হবে এবং কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে আগামী ৬ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক গণনা হবে। সেটাই আগামী ২০ জানুয়ারি বাইডেনের প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেওয়ার পথ তৈরি করবে। এদিকে, ২০২০ সালটি যদি সারা বিশ্বের জন্য করোনা ভাইরাসের হয়, তবে মধ্যপ্রাচ্যের জন্য এই বছরটি ছিল ইসরাইলের। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গত আগস্টে ইসরাইল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের ঘোষণা ছিল মধ্যপ্রাচ্যের জন্য একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। এটাকে অনেকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের একটি ভূরাজনৈতিক ভূমিকম্প’ বলে অভিহিত করেছেন। প্রসঙ্গত, ১৯৪৮ সালে ইসরাইল রাষ্ট্রের জন্ম হওয়ার পর বাহরাইন ও আরব আমিরাত তৃতীয় ও চতুর্থ উপসাগরীয় দেশ হিসেবে ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিল। এর আগে মিশর ১৯৭৯ সালে এবং জর্ডান ১৯৯৪ সালে ইসরাইলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিল।
বাংলাদেশের ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক অর্জন হলো। আমরা আশা করি, সব জঞ্জাল ও পঙ্ক দূর করে ২০২১ আমাদের এক স্বাভাবিক ও অপার সম্ভাবনার জীবনের সন্ধান দিবে। জীর্ণ পুরাতন যাক ভেসে যাক। নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হোক। জাগুক নতুন স্বপ্ন, নতুন উৎসাহ-উদ্দীপনা। প্রত্যাশা করা হচ্ছে, ভ্যাকসিন আসার ফলে মহামারির ছোবল মিইয়ে পড়বে, রক্ষা পাবে মানবসভ্যতা, মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যাশা সুপ্রতিষ্ঠিত হবে। নতুন বছরে সাফল্যে সম্ভাবনায় অনাবিল সুখ ও শান্তির ঝর্ণাধারায় হেসে উঠক সবার জীবন।
এই হোক আমাদের শুভ কামনা।
১ জানুয়ারি, ২০২১।