মনটাকে পবিত্র করাই হজের মূল উদ্দেশ্য

চাঁদপুরে হজযাত্রীদের প্রশিক্ষণে জেলা প্রশাসক


স্টাফ রিপোর্টার
চাঁদপুরে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনের উদ্দেশ্যে নিবন্ধিত হজযাত্রীদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের উদ্বোধন হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল ১১টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্ধোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান।
তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, হজের সঠিক নিয়ম পালন করতে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান দ্বারা হজের সব কাজ সহজ হয়। ইসলামের প্রত্যেকটি রোকনই গুরুত্বপূর্ণ। এসব রোকন পালনের মাধ্যমেই আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব। যারা আল্লাহর মেহমান, তাদের জন্যই (আজ) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে হজের প্রশিক্ষণ। আল্লাহর ঘর তাওয়াফের মাধ্যমে পাপ মোচন হয়। আল্লাহ, আল্লাহর রাসূলের সন্তুষ্টির লক্ষ্যে হজ করুন।
তিনি আরো বলেন, সরকার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মাধ্যামে সারা জেলায় হজ যাত্রাকালে বিড়ম্বনা নয়, এ প্রত্যয় নিয়ে কাজ করছে। কেননা হজ যাত্রীরা অনেক দুর্ভোগে পড়েন। এজেন্সির লোকজন হাজিদের নিয়ে ব্যবসা করে। হাজিরা মহান আল্লাহর পবিত্র স্থানে হজ পালন করতে যায়। কিন্তু কিছু অসাধু এজেন্সি হাজিদের সেবা নামে অনৈতিকভাবে ব্যবসা করে। বিমানে উঠার আগ পর্যন্ত তাদের নানাভাবে হয়রানি করে থাকে। তাদের নির্ধারিত বিমান ভাড়াসহ অন্যান্য খরচ বাবদ ছাড়াও তাদের থেকে অতিরিক্ত কিছু এজেন্সি কর্তৃপক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। সে বিড়ম্বনা ঠেকাতে হজ যাত্রীদের কার্যক্রম অনলাইনের মাধ্যমে করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার হজ যাত্রীদের অনলাইনের মধ্যেমে ভিসা প্রসেসিংসহ বিভিন্ন কার্যক্রম অনলানের মাধ্যমে চালু করেছে। অনলাইনের মাধ্যমে এসব কার্যক্রম হজ যাত্রীদের দুর্ভোগ হয় না। হাজিদের সেবা সবার আগে আমাদের দিতে হবে।
তিনি প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের আজকের এই প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে হজযাত্রীরা যেন কোন অসুবিধায় না পড়ে। তারা যেন আল্লাহর কাজে সম্মানের সাথে করতে পারে সে লক্ষ্যে। আলহাজ শুধু লেখার জন্য নয়। নিজের মনটাকে পুত-পবিত্র করাটাই হলো হজের মূল উদ্দেশ্য ।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উজ্জ্বল হোসেন ও হাজি মো. ফারুকুল ইসলাম।
প্রশিক্ষক প্রদান করেন স্থানীয় বাইতুল আমিন জামে মসজিদের খতিব মাও. মো. সাইফুদ্দিন খন্দকার ও হাব’র প্রতিনিধি মাও. মো. তোফায়েল আহম্মেদ।
উল্লেখ্য, প্রশিক্ষণে নিবন্ধিত একশ’ একজন হজ পালনকারী অংশগ্রহণ করেন।