নিজস্ব প্রতিনিধি
শাহরাস্তিতে আম কুড়াতে গিয়ে এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরী (২০) ধর্ষিত হয়েছে। এ ঘটনায় ধর্ষক জিহাদ (১৮) ও ফাহিম (২০) নামের দুই ধর্ষককে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে শনিবার সকালে স্থানীয়রা তাদের আটক করে পুলিশে দেয়। উপজেলার মেহের উত্তর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
আটক জিহাদ কচুয়া উপজেলার চন্দিয়াপাড়া গ্রামের মোল্লা বাড়ির মৃত ইব্রাহীম মোল্লার ছেলে এবং ফাহিম একই উপজেলার আমুজান গ্রামের মৃত জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। ফাহিম পেশায় সিএনজি চালক। এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে শাহরাস্তি থানায় ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন।
বুদ্ধি প্রতিবন্ধীর মা সাংবাদিকদের জানায়, আমার মেয়ে সেহরী খাওয়ার পর ভোরে বাড়ির আঙ্গিনায় আম কুড়াচ্ছিল। ফজর নামাজের পর তাকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করা হয়। নামাজ শেষে মসজিদের মুসল্লিরা বাড়ি যাওয়ার পথে আমুজান এলাকার একটি বাগান বাড়িতে মেয়েকে কাঁদতে দেখে এবং তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা জিহাদ (১৮) নামের এক যুবককে আটক করে।
এ সময় মেয়ের পরনের কাপড় খোলা দেখে স্থানীয়রা জিহাদকে উত্তম-মধ্যম দেয় এবং তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বাগানের ভেতর থেকে অপর ধর্ষক ফাহিম (২০) নামের এক সিএনজি চালককে আটক করে স্থানীয় এবং মসজিদের মুসল্লীরা। পরে শাহরাস্তি থানায় খবর দেয়া হলে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল আউয়াল ২ ধর্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
আটক জিহাদ জানায়, ফাহিম মেয়েটিকে আম কুড়াতে দেখে আমাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে মেয়েটিকে মুখে কাপড় বেঁধে সিএনজিতে করে কচুয়া উপজেলার আমুজান বাগানে নিয়ে যাওয়া হয়।
শাহরাস্তি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ আলম জানান, এ ঘটনায় শাহরাস্তি থানায় মেয়ের মা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামি আটক দু’জনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য চাঁদপুর প্রেরণ করা হবে।

