সশস্ত্র বাহিনী দিবসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে সর্বাত্মক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধান, সামরিক সচিব এবং ডিজি-এসএসএফসহ ২৬ জনকে ‘অসামান্য সেবা পদক’ র‌্যাঙ্ক ব্যাচ পরিয়ে দেন। গতকাল মঙ্গলবার সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে স্বাধীনতা যুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে ‘শান্তিকালীন’ পদক ২০১৬ বিজয়ী ১২ জন এবং ‘অসামান্য সেবা’ পদক বিজয়ী ১৪ জনসহ সশস্ত্র বাহিনীর ২৬ জন সদস্যের মাঝে প্রধানমন্ত্রী পদক বিতরণ করেন। -ইলশেপাড়

ইল্শেপাড় রিপোর্ট :
সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০১৭ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সব সদস্যকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সলে ২১ নভেম্বর দেশপ্রেমিক জনতা, মুক্তিবাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী ও বিভিন্ন আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরা দখলদার পাকিস্তানী বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ করে দেশ স্বাধীন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০১৭ উপলক্ষে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর শহীদ সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তিনি গতকাল মঙ্গলবার সকালে ঢাকা সেনানিবাসে শিখা অনির্বাণে (শিখা চিরন্তন) পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে এ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণের পর মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গ করা শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্যে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
এ সময় সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। সে সময় বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্বে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরে শিখা অনির্বাণ প্রাঙ্গণে রাখা পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শিখা অনির্বাণে পৌঁছালে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নিজামউদ্দিন আহমদ, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আবু এসরার এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের (এএফডি) প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান তাঁকে স্বাগত জানান।
পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে যান। সেখানে তিন বাহিনীর প্রধানগণ তাঁর সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। প্রধানমন্ত্রী এএফডি’তে পৌঁঁছালে এএফডি’র ডাইরেক্টরস জেনারেলগণ এবং পিএসও তাঁকে অভ্যর্থনা জানান।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের এইদিনে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সমন্বয়ে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী গঠিত হয়। এরপর এ বাহিনী পাকিস্তানী দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অভিযান শুরু করে। আর এই অভিযানের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় ত্বরান্বিত হয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ঐতিহাসিক দিবসটি প্রতিবছর সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।