মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্
হাজীগঞ্জে বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিটের আগুনে ৮টি বসতঘর ও ২টি রান্নাঘরসহ ১০টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। শুক্রবার রাতে উপজেলার বাকিলা ইউনিয়নের সন্না গ্রামের হাওলাদার বাড়িতে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রায় ১ ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষয় হয়। কিন্তু ততখনে ৮টি বসতঘর পুড়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্তরা।
আগুনে ওই বাড়ির খোরশেদ আলমের ১টি বসতঘর ও ১টি রান্নাঘর, ফারুকের ১টি বসতঘর ও ১টি রান্নাঘর, রফিকের ১টি বসতঘর, হারেছ হাওলাদারের ১টি বসতঘর, শাখাওয়াতের ২টি বসতঘর, নূরে আলমের ১টি বসতঘর ও লিয়াকতের ১টি বসতঘর পুড়ে যায় বলে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আব্দুল হান্নান।
জানা গেছে, শুক্রবার রাতে ওই বাড়ির চট্টগ্রামে বসবাসকারী শাখাওয়াতের বতসঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। ওই সময় লোকজন তারাবি নামাজ পড়া অবস্থায় থাকায় ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিতে দেরি হয়। যার ফলে মুহূর্তেই আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় প্রায় ১ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এতে ৮টি বসতঘর, ২টি রান্নাঘর, ঘরে থাকা নগট টাকা, স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্র, তৈজসপত্র ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়। এ দিকে তারাবি নামাজ পড়া অবস্থায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে লোকজন মসজিদে নামাজরত থাকায় ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান বেশী হয় বলে স্থানীয়রা জানান।
হাজীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের লিডার আব্দুল গনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিটে আগুনের সূত্রপাত। ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়নি বলে তিনি জানান।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মাহফুজুর রহমান ইউছুফ পাটওয়ারী জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয় সংসদ সদস্য মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম, উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী মাইনুদ্দিন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৈশাখী বড়–য়াকে অবহিত করেছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বৈশাখী বড়ুয়া জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।