
ফলোআপ
মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্
হাজীগঞ্জে মারুফ হোসেন রিয়াদ (১৫) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এর মধ্যে তিনজন নামীয় এবং ৫ জন সন্দেহভাজন। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি বলে জানান হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আলমগীর হোসেন রনি।
এর আগে রোববার সকালে পৌরসভাধীন ৪নং ওয়ার্ডের আমিন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকার ফরিদের টং দোকান থেকে রিয়াদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শনিবার দিবাগত রাতের কোন এক সময়ে তাকে খুন করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
হত্যাকাণ্ডের শিকার মারুফ হোসেন রিয়াদ ওই ওয়ার্ডের মকিমাবাদ গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে। সে আমিন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির (ভোকেশনাল শাখা) শিক্ষার্থী। সে তার বাবা-মায়ের সাথে হাজীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সুদিয়া গ্রামে নতুন বাড়িতে থাকতো।
থানা সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার সারসংক্ষেপ পর্যালোচনা এবং সিসি টিভির ফুটেজ দেখে নামীয় ৩ জন ও সন্দেহজনক ৫ জনসহ মোট ৮ জনকে আটক করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, রিয়াদকে পূর্ব শত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
তবে যে দোকানে রিয়াদের মরদেহ পাওয়া গেছে ওই দোকানের কর্মচারী ফারুক হোসেন (২৮) পলাতক রয়েছে। সে পার্শ্ববর্তী কচুয়া উপজেলার বাসিন্দা এবং দোকানের মালিক সিঙ্গারা বিক্রেতা ফরিদের ভায়রা। তাকে আটক করতে পারলে এ হত্যার রহস্য অনেকটাই উন্মোচিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে স্থানীয়রা মনে করছেন।
থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন রনি বলেন, তদন্ত চলছে এবং আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।