ভোরের চোখ,কুয়েতঃ কুয়েতে বাংলাদেশি শ্রমিক (গৃহকর্মী) নিয়োগের ওপর এক মাসের ব্যবধানে আবারও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।’ এমন শিরোনামে স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, এক মাস আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দিষ্ট নিয়ন্ত্রণের আওতায় কুয়েতে গৃহকর্মী নিয়োগের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। কুয়েতে বাংলাদেশিদের সংখ্যা দুই লাখে পৌঁছেছে উল্লেখ করে নাগরিকত্ব এবং পাসপোর্ট বিষয়ক সহকারী সচিব শেখ মাজান আল জাররাহ একটি পরিসংখ্যান দেখিয়েছেন। তবে ভবিষ্যতে তার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবেন কিনা বা বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগে নিয়ন্ত্রণের ঘোষণা করা হবে কিনা সে বিষয়ে কোনো কিছু জানাননি তিনি। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে শ্রমিক নিয়োগের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর কুয়েতি বাড়ির প্রত্যেক মালিককে কিছু নির্দিষ্ট নিয়মে একজন বাংলাদেশি গৃহকর্মী নিয়োগের অনুমতি দেয়া হয়েছিল। এই বিষয়ে কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর আবদুল লতিফ খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এই সংবাদটি সম্পর্কে দূতাবাস অবহিত আছেন। আরোপিত নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে তিনি জানান, দেশটিতে কুয়েতি নাগরিকদের জন্য একজন করে বাংলাদেশি গৃহকর্মী নিয়োগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। যা কয়েক মাস ধরে স্বাভাবিক ছিল। তবে পূর্বের মত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে কুয়েতি নাগরিকরা শ্রমিক আনতে পারবেন। এই নিষেধাজ্ঞার কারণ জানতে চাইলে আবদুল লতিফ খান বলেন, কুয়েতে বাংলাদেশি গৃহকর্মী কোটা পূর্ণ এবং কিছু ব্যক্তি মালিকের যোগসাজসে গৃহকর্মীর ভিসা নিয়ে (ফ্রি ভিসা) বাসায় কাজ না করে বাহিরে কাজ করা এর কারণ হতে পারে। এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় কোনো কোম্পানির শ্রমিক নিয়োগে বাধা নেই জানিয়ে তিনি কুয়েত আগমনে সকল শ্রমিককে তার ভিসা কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সত্যায়িত আছে কিনা দেখে কুয়েত আসার আহ্বান জানান। এতে ওই শ্রমিক কোম্পানির কারণে কোনো প্রকার সমস্যায় পড়লে দূতাবাস যথাযোগ্য পদক্ষেপ নিতে স্থানীয় আইনে কোনো বাধা থাকবে না বলেও জানান আবদুল লতিফ।
- Home
- প্রবাসী খবর
- কুয়েতে বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগে আবারও নিষেধাজ্ঞা!