এস এম সোহেল
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে শারদীয় দুর্গা উৎসব। বিজয়া দশমীতে সারাদেশে স্থানীয় আয়োজন ও সুবিধামতো সময়ে বিজয়ার শোভাযাত্রা সহকারে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়।
মণ্ডপে-মণ্ডপে পূর্বের রাতে বেজছে মায়ের বিদায়ের ঘণ্টা। নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সন্ধ্যার আগেই প্রতিমা বিসর্জনের নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ। কিন্তু চাঁদপুর শহরে পূজার পূর্বের ভাবধারা ধরে রাখতে কয়েকটি পূজামণ্ডপ কর্তৃপক্ষ আনন্দ শোভাযাত্রা বের করে। গত বুধবার ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে শুরু হয় হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।
এ বছর দেবী দুর্গার আগমন করেছে দোলায়। হিন্দু ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী, প্রতি শরতে কৈলাস ছেড়ে কন্যারূপে মর্ত্যলোকে আসেন দেবী দুর্গা। তার এ ‘আগমন ও প্রস্থানের’ মধ্যে আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী থেকে দশমী তিথি পর্যন্ত পাঁচ দিন চলে দুর্গোৎসব।
বিসর্জনস্থান চৌধুরী ঘাটে চাঁদপুর পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের আয়োজনে প্যান্ডেল করা হয়। সেখানে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে এবং পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুমন সরকার জয়ের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহম্মদ মোহসীন উদ্দীন, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আব্দুল রাকিব, চাঁদপুরে নিয়োজিত সেনাবাহিনীর মেজর মোয়াজ্জেম হোসেন, চাঁদপুর পৌর প্রশাসক একরামুল সিদ্দিকী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াসির আরাফাত, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাখাওয়াত জামিল সৈকত, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তমাল কুমার ঘোষ, জেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি পরেশ মালাকার, সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক লক্ষ্মণ চন্দ্র সুত্রধর, পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নেপাল সাহাসহ বিভিন্ন পূজামণ্ডপের নেতৃবৃন্দ।
চাঁদপুর শহরে আনন্দ শোভাযাত্রা করে শহর প্রদক্ষিণ করে কালিবাড়ি মন্দির, মহাবীর মন্দির, ঘোষ পাড়াসহ বেশ কয়েকটি মন্দির। তাতে তরুণ-তরুণী নেচে আনন্দ প্রকাশ করে দেবী দুর্গা মাকে বিসর্জন দিয়ে কৈলাসে বিদায় জানায়।
১৪ অক্টোবর, ২০২৪।