সদর ইউএনও’র ভ্রাম্যমাণ আদালত
স্টাফ রিপোর্টার
মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্স, রোগী থাকলেও চিকিৎসক না থাকায় চাঁদপুরে একটি হাসপাতালকে ৫০ হাজার ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিকেলে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের মা ও শিশু হাসপাতাল এবং স্টেডিয়াম সড়কের নিউ আল কারিম ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাখাওয়াত জামিল সৈকত। এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রাজন কুমার দাস।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রাজন কুমার দাস বলেন, শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের পাশে অবস্থিত মা ও শিশু হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের দুইটি ওয়ার্ডে রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকলেও ডাক্তার নেই। হাসপাতালের লাইসেন্সও মেয়াদোত্তীর্ণ। হাসপাতালে রোগীদের মেডিকেল পরীক্ষার প্যাথলজি থাকলেও নেই লাইসেন্স ও টেকনিশিয়ান। তবুও চলছে পরীক্ষা।
মা ও শিশু হাসপাতালের তৃতীয় তলায় গিয়ে দেখা যায়, একটি অপারেশন থিয়েটার থাকলেও ব্যবহৃত হচ্ছে অনেক পুরাতন ঝং ধরা সব যন্ত্রপাতি। অপারেশন কাজে ব্যবহার করা হয় সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হ্যালোথেন। সরেজমিনে এসব অনিয়ম দেখে তাৎক্ষণিক ঐ অপারেশন থিয়েটারটি সীলগালা করা হয় এবং মা ও শিশু হাসপাতালের পরিচালককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।
এছাড়া চাঁদপুর স্টেডিয়াম রোডে অবস্থিত নিউ আল কারীম ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে দেখা যায়, নিউ আল কারীম ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি দীর্ঘদিন যাবত লাইসেন্স হালনাগাদ না করেই প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছে। এসময় প্যাথলজির ফ্রিজে পাওয়া যায় প্রায় ৬ মাস আগের মেয়াদোত্তীর্ণ রাসায়নিক মেডিসিন যা দিব্যি এখনও তারা নীরবে ব্যবহার করে আসছে। তাৎক্ষণিক নিউ আল কারীম ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ২৫ হাজার টাকা অর্থ দন্ড প্রদান করা হয়।
চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাখাওয়াত জামিল সৈকত বলেন, অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে শহরের মা ও শিশু হাসপাতাল ও আল কারীম ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। মানসম্মত স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে চাঁদপুর শহরের প্রতিটি হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।
১০ জুলাই, ২০২৪।