চাঁদপুর সেতুর টোল বন্ধের দাবিতে স্মারকলিপি

ফরিদগঞ্জ ব্যুরো
চাঁদপুর সেতুর টোল আদায় বন্ধের দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর পরিবহন শ্রমিক ও স্থানীয় জনতা স্মারকলিপি দিয়েছে। রোববার (৮ জুলাই) দুপুরে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন হাজি মাকসুদুল বাসার বাঁধন পাটওয়ারী, ফরিদগঞ্জ উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি হানিফ কাজী, জেলা সিএনজি মালিক সমিতির সভাপতি রিপন মজুমদার প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ১৯ বছর ধরে শুরু হওয়া চাঁদপুর সেতুর টোল আদায় করা হচ্ছে। ২০১২ সালে পরিবহন মালিক শ্রমিকরা বিক্ষোভ মানববন্ধন করে সাবেক জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের স্মারকলিপি দেয়া হয়। ২০২০-২১ সালে সাবেক জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের উদ্যোগে ঐ ব্রিজের টোল বন্ধের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পত্র প্রেরণ করা হলেও অদ্যাবধি তা বন্ধ না হয়নি। গত ৬ জুলাই পরিবহন মালিক শ্রমিক এবং এলাকার সর্বস্তরের জনগণ ব্রিজ টোল বন্ধ করার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। পরবর্তীতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াছির আরাফাতের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় দুপুর পর্যন্ত ব্রিজ টোল বন্ধ রেখে শ্রমিকদের সাময়িক আশ্বস্ত করে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখেন।
আমরা ঐ ব্রিজ টোল বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত আমাদের সিএনজি ও অটোরিক্সা, মোটর সাইকেল, থ্রি হুইলারের টোল আদায় বন্ধ রাখার দাবি জানাই এবং একই সাথে উক্ত টোল বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত সিএনজি এবং অটো রিক্সার, মোটর সাইকেল, থ্রি হুইলার দৈনিক ১ বার টোল নেওয়ার দাবি জানিয়ে আমাদের বিক্ষোভ মানববন্ধন কর্মসূচি আগামি ১০ কার্য দিবস পর্যন্ত সমাপ্তি ঘোষণা করি। আগামি ১০ দিনের মধ্যে আমাদের দাবিসমূহ বাস্তবায়ন করার জন্য আপনার মাধ্যমে বিনীতভাবে আবেদন জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে ডাকাতিয়া নদীর উপর গাছতলা নামক এলাকায় ২৪৮ মিটার দৈর্ঘ্যরে চাঁদপুর সেতুটি ১৮ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০০৫ সনে নির্মাণ করা হয়। গত ১৯ বছর যাবত টোল আদায় করে চলছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। জনসাধারণ বারবার টোল আদায় বন্ধের দাবি জানালেও কার্যত কোন ফল হয়নি। উল্টো গত ১ জুলাই থেকে আরো তিন বছরের জন্য ইজারা দেয় কর্তৃপক্ষ।

০৮ জুলাই, ২০২৪।