আল আমিন ছৈয়াল
চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের বহরিয়া বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ১৩টি দোকান আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গত শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক সৈয়দ মুহাম্মদ মোরশেদ হোসেন। তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আমাদের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে কীভাবে আগুন লেগেছে তা এখনো বলা যাচ্ছে না।
অগ্নিকাণ্ডে কাপড়ের দোকান, খাবার হোটেল, স্বর্ণের দোকান, মাইক ও ব্যাটারি দোকান, টেইলার্সসহ প্রায় ১৩টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
বাজারের ব্যবসায়ী রাসেল গাজী বলেন, প্রথমে একজন সিএনজির ড্রাইভার দেখে বাজারে আগুন লাগছে। তার ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা এসে আগুনের লেলিহান শিখা দেখে যে যার মত বালতি, জগ, পাতিল, কলস দিয়ে পানি এনে আগুন নিভানোর চেষ্টা করে। পাশে একটি মসজিদ থাকায় আগুন লাগার বিষয়টি মাইকিং করলে দূর-দূরান্ত থেকে শত শত লোকজন এসে আগুন নিভনোর চেষ্টা করে।
ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে চাঁদপুর, হাইমচর ও ফরিদগঞ্জসহ ৩/৪টি ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততোক্ষনে আগুনে পুড়ে সব ছাই হয়ে যায়। পরে তারা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
চাঁদপুর দক্ষিণ ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. সামছুল আলম বলেন, আগুন লাগার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে তারা। কাঠের দোকান, ফার্নিচার ওষুধ, কাপড়ের দোকান মোট ১১টি দোকান পুড়ে গেছে। তবে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করার পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। এতে প্রায় ২০ লাখ টাকার মালামাল ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নুরুল ইসলাম ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক শহীদ বেপারী, জেলা ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন মৃধা, ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. সুমন আহমেদ ভূঁঞাসহ বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। তারা ব্যবসায়ীদের সার্বিক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।
ইউনিয়ন পরিষদের হিসাবরক্ষক রোমেনা আক্তার বলেন, বাজারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসককে জানালে ইউপি সচিব পুড়ে যাওয়া প্রতিটি দোকানসহ মালামলের ক্ষয়-ক্ষতির তথ্যগুলো কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট পাঠান।
২১ এপ্রিল, ২০২৫।