মনিরুল ইসলাম মনির
দেশের ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের বুধবার (৮ মে) ছিলো প্রথম ধাপ। প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে ২২টিতে ইভিএমে ও বাকিগুলোতে ব্যালটে ভোট হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। কয়েকটি স্থানে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শেষ হয়েছে।
এই প্রথম মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ইভিএম’র মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোট দিতে আসা নারী-পুরুষ ও নতুন ভোটাররা ইভিএম এ ভোট দিতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বৈরী আবহাওয়ায় সকাল থেকে মতলব উত্তর উপজেলার এনায়েত নগর, জহিরাবাদ, পশ্চিম ইসলামাবাদ সপ্রাবি ও সুজাতপুর নেছারিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে নারী-পুরুষ ও নতুন ভোটারদের বেশ উপস্থিতি ছিলো।
সুজাতপুর নেছারিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা শারমিন আক্তার বলেন, এই প্রথম আমি ভোট দিতে এসেছি। ইভিএম ভোট দিতে সংশ্লিষ্ট কর্মতর্কতারা ধারণা দেওয়ায় সহজেই ভোট দিতে পেরেছি।
একই কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা হাবিবুর রহমান জানান, আগে ব্যালেটের মাধ্যমে ভোট দিতে ঝামেলা হতো। এবার ইভিএম এ খুব সহজেই ভোট দিতে পেরেছি।
ভোট দিতে আসা মো. মহিউদ্দিন জানান, ইভিএম এর কারণে একজনের ভোট আরেকজন দেয়া সম্ভব না। আমাদের এ সুজাতপুর কেন্দ্রে নির্বাচনী পরিবেশ দেখে খুবই ভালো লাগছে।
এ কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আব্দুল মতিন জানান, এ কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ৩শ’ ৮১ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ হাজার ২শ’ ২৯ জন ও নারী ভোটার ১ হাজার ১শ’ ৫২জন। সকাল ১১টা পর্যন্ত ৮ ভাগ ভোট সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩ জন ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২জন প্রার্থী প্রতিদ্বদ্ব্নিতা করেছেন।
মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ উপলক্ষে ভোট কেন্দ্র ও সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
বুধবার মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র ও নির্বাচনী এলাকার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
ভোটকেন্দ্রে আগত ও অবস্থানরত সাধারণ জনগণকে নির্বিঘ্নে ভোট প্রদানের জন্য উৎসাহিত করেন। ভোটকেন্দ্রের আশেপাশের এলাকার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণসহ নির্বাচনে দায়িত্বরত সব অফিসার ও ফোর্সদের সর্বদা সজাগ দৃষ্টি ও তৎপরতার সাথে দায়িত্ব পালনের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
এসময় তাঁদের সাথে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) সুপার সুদীপ্ত রায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ইমরান শাহরীয়ার, অতিরিক্ত পুলিশ (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) রাশেদুল হক চৌধুরীসহ জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
০৯ মে, ২০২৪।