পুষ্টি বাগানে মিটছে পারিবারিক চাহিদা
মনিরুল ইসলাম মনির
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দেশে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা আনতে মতলব উত্তর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের ৪৩২টি বাড়িতে পুষ্টি বাগান গড়ে তোলা হয়েছে। এতে সরকারি প্রণোদনা হিসেবে প্রতিটি কৃষককে ১৭ জাতের সবজির বীজ, বাগান তৈরির আনুসাঙ্গিক ব্যয় বাবদ নগদ ১ হাজার ৯৩৫ টাকা করে দেয়া হয়েছে।
এছাড়া কৃষকের পাশে থেকে সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিয়ে তাদের পুষ্টিসম্মত সবজি চাষে অনুপ্রেরণা দেয়ায় প্রশংসিত হয়েছেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ পাভেল খান পাপ্পু। উপজেলার আটটি ইউনিয়নে ‘বাড়ির পাশে বাগ-বাগিচা, শাক-সবজির চাষ, ফুল দেবে, ফল দেবে, পুষ্টি বারো মাস’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এ উপজেলায় গড়ে উঠেছে এসব পুষ্টি বাগান। পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে স্থানীয় বাজারে বিক্রি হচ্ছে এসব বাগানের আগাম জাতের শীতকালীন সবজি।
মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কৃষি জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে বসতবাড়ির আঙিনাসহ পতিত জমিতে তৈরি হচ্ছে পারিবারিক এসব পুষ্টি বাগান। ১৭ জাতের শাক-সবজি চাষ করে আলোর মুখ দেখছেন উপজেলার ৪৩২টি কৃষক পরিবার।
মোহনপুর ইউনিয়নের আইঠাদি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ শেখ ফরিদ শাকিল বলেন, পারিবারিক পুষ্টি বাগান করতে কৃষক-কৃষাণীদের আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে। আমরা চাষিদের সঠিক চাষ পদ্ধতির বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।
কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ সালাউদ্দিন জানান, বাড়ির আঙিনাসহ পতিত জমিতে পারিবারিক পুষ্টি বাগান তৈরিতে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। এ সবজি ক্ষেত তৈরি ও পরিচর্যার জন্য প্রতি কৃষককে দেয়া হয়েছে ১ হাজার ৯৩৫ টাকা।
এছাড়া বিনামূল্যে লাউ, সিম, ঢেঁড়স, ডাটা, ধনিয়া, চিচিংগা, পুই শাক, কলমি শাক, লাল শাক, পালং শাক, পেঁপে, মুলা, করলাসহ ১৭ ধরনের সবজি বীজ দেয়া হয়েছে। এসব বীজ রোপণ করে কৃষকের বাড়ির আঙ্গিনাসহ পতিত জমি এখন সবুজের সমারোহ। যা তাদের পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে স্থানীয় বাজারগুলোতে।
২৯ নভেম্বর, ২০২০।