স্টাফ রিপোর্টার
দৈনিক ইলশেপাড়ের প্রধান সম্পাদক ও চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সুমনের শহরের মুন্সেফ পাড়ার বাসা থেকে ব্যবহৃত একটি অন্ড্রয়েড মোবাইল চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। চুরির ঘটনাটি ঘটে গত রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টার দিকে। মোবাইল চুরির ঘটনায় সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান সুমন চাঁদপুর মডেল থানায় সাধারণ ডায়রি (নং-১৮৯৩, তাং ২৬/৯/২১ইং) করেন। তবে গত ৪ দিনেও মোবাইলের কোন ধরনের কোন খোঁজ দিতে পারেনি পুলিশ।
মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি সূত্রে জানা যায়, তার ব্যবহৃত রেডমি-৯ পাওয়ার মডেলের এন্ড্রয়েড মোবাইলটি বাসা থেকে চুরি হয়ে যায়। মোবাইলটির আইএমই নং-৮৬৯৯৩৮০৫১৩০৩৭৯১ ও ৮৬৯৯৩৮০৫১৩০৩৮০৯। যার রঙ ইলেক্ট্রিক গ্রীন।
এ বিষয়ে সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান সুমন জানান, তিনি শহরের মুন্সেফ পাড়ার ডা. জমির আহমদের বাসার নিচতলায় দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া থাকেন। ঐদিন সকালে সাংবাদিক সুমনের সহধর্মিণীর ব্যবহৃত রেডমি-৯ পাওয়ার এন্ড্রয়েড মোবাইলটি চার্জে দিয়ে বাসার দৈনন্দিন কাজ ও স্কুলে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সোয়া ৭টার দিকে হঠাৎ মোবাইল আনতে গিয়ে দেখেন- মোবাইলটি চার্জারসহ নেই। এসময় তিনি আশপাশের প্রতিবেশীদের বিষয়টি জানিয়ে দুপুরের দিকে চাঁদপুর মডেল থানায় সাধারণ ডায়রি করেন।
ঘটনার সময় মুন্সেফ পাড়ার ডা. জমির আহমদের বাসার সামনে ‘সেবা সিটি সেন্টারের’ সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, প্রায় ৪০/৪৫ বছর বয়সী লুঙ্গি পরিহিত এক ব্যক্তি সকাল ৭টা ৭ মিনিটের দিকে বাসার গেট দিয়ে প্রবেশের ৩/৪ মিনিট পর ৭টা ১১ মিনিটের দিকে বের হয়ে যান। লোকটিকে নির্মাণ শ্রমিকের মতো মনে হয়। তবে মোবাইলটি চুরি করে নিয়ে যাওয়ার পরও কয়েক ঘণ্টা সঙ্গে থাকা সিমে কল হলেও কেউ ফোনটি রিসিভ করেননি।
চাঁদপুর মডেল থানার ওসি আব্দুর রশিদ জানান, বর্তমানে প্রায়ই চোরের দল মোবাইল চুরি করছে। মোবাইল চোরদের ধরতে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় কাজ করা হয়। সাংবাদিক সুমনের বাসা থেকে মোবাইল চুরির ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এ ব্যাপারে কাজ করছেন।
উল্লেখ্য, মোবাইল চুরির পর-পরই চাঁদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের এক কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানানো হয়। তিনি দ্রুত মডেল থানা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে সাধারণ ডায়রি করার পরামর্শ দেন। সেখান থেকে পুলিশ সুপার কার্যালয় হয়ে পরবর্তী কার্যক্রম করা হবে বলে জানা যায়।
২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১।