সাহেদ হোসেন দিপু
হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী মালের হাট বালিকা কলেজের জায়গা দখল করে রাতের আঁধারে ভবন নির্মাণ করছেন স্থানীয় শেকান্তর বেপারীর ছেলে বিল্লাল বেপারী। এ ব্যাপারে রাজনৈতিক চাপের মুখে নীরব ভূমিকায় রয়েছে ঐ কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজের সম্পদ দখল করে রাতের আঁধারে পাকা ভবন নির্মাণ করার বিষয়ে কর্তৃপক্ষ নীরব থাকায় এলাকাজুড়ে চলছে সমালোচনা। তবে স্থানীয়দের দাবি কলেজের জমি দখলমুক্ত করতে প্রয়োজন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সামনে দিয়ে টিনের ছাউনি দিয়ে ভিতরে ইটের ৪ দেয়াল উঠিয়ে কাজ বন্ধ করে রেখেছে। স্থানীয় লোকজনের সাথে আলাপ করলে জানা যায়, দিনের বেলায় যাতে কেউ না দেখে তাই রাতের বেলায় শ্রমিক দিয়ে কাজ করানো হয়। রাতের আঁধারে কাজ করে ইটের দেয়াল উঠানো হয়ে গেছে। এক প্রকারের জোর করেই ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ দেখেও যেন না দেখার ভান করছে।
এলাকাবাসী জানায়, মালের হাট যুব সংঘ স্থানীয় শেকান্তর বেপারীর কাছ থেকে ৮০ শতাংশ জমি ক্রয় করে এমজেএস স্কুল ও কলেজের নামে ৬০ শতাংশ দান করেন। কলেজের ৬০ শতাংশ জমির মধ্যের অংশে এ পাকা ভবন নির্মাণ করে জায়গা দখল করছে শাহলম বেপারী।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শাহলম বেপারীর সাথে আলাপ করতে চাইলে তিনি কোন কথা বলতে রাজি নন বলে জানান।
এমজেএস বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কলেজ প্রধান শিক্ষক সরদার মাহবুব জানান, আমাদের কলেজের জায়গা নিয়ে এমনিতে ২টি মামলা উচ্চ আদালতে রয়েছে। ঐ মামলায় কলেজের পক্ষে রায় হওয়ার পরে আবার আপিল করেছে। এর মধ্যে আবার নতুন করে শাহলম বেপারী জায়গা দখল করে ভবন নির্মান করছে। এ বিষয়ে যাতে আমরা কোন হস্তক্ষেপ না করি তার জন্য রয়েছে রাজনৈতিক চাপ। বলতে গেলে আমরা অনেক চাপ সৃষ্টির মধ্যে আছি। আপনারা যাতে লেখনির মাধ্যমে কলেজের জায়গা উদ্ধার করতে পারেন। কলেজের হয়ে আপনারা কাজ করুন, যাতে কলেজের জায়গাটুকু দখলমুক্ত হয়।
এমজেএস স্কুল ও কলেজ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি এসএম আল মামুন সুমমন জানান, মালের হাট যুব সংঘ ৮০ শতাংশ জমি ক্রয় করে ৬০ শতাংশ জমি আমাদের কলেজকে দান করেছেন। এখন এখানে সরজমিনে জমিন আছে ৬৬ শতাংশ। এর মধ্যে ৬ শতাংশ জমির উপর মালের হাট যুব সংঘের অফিস। এখানে যতটুকু জায়গা আছে মালের হাট যুব সংগ ও কলেজের জায়গা। ৩য় পক্ষের কেউ এসে জোর করে ভবন নির্মাণ করবে, এটা ঠিক না। এটা সম্পূর্ণভাবে বেআইনী। কলেজটা আমাদের সবার, এ সম্পদ সবাই মিলে রক্ষা করতে হবে।
১১ জুন, ২০২৪।