হাইমচরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২৫ দোকান পুড়ে ছাই

ফায়ার সার্ভিসের গাফলতি

সাহেদ হোসেন দিপু
হাইমচরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২৫ দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতিতে নিঃস্ব হয়েছেন ২৫টি পরিবার। ফায়ার সার্ভিসের গাফলতিতে দোকানের অগ্নিকান্ড ভয়াবহতায় রুপ নিয়ে একে একে ২৫টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ফরিদগঞ্জ থেকে ফায়ার সার্ভিস এসে পুড়ে যাওয়া ছাই থেকে পানি দিয়ে আগুন নিভায়। ফায়ার সার্ভিসের গাফলতিকে কেন্দ্র করে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ইব্রাহিম জানান, সোমবার রাত ১২টার দিকে কেভিএন উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে বাজারের পশ্চিম মাথায় একটি দোকানে আগুনের সূত্রপাত হয়। আমরা সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিসকে ফোন দিলে তারা এক ঘণ্টা পরে আসেন। তখন ৪টি দোকান আগুনে জ¦লছিল। ফায়ার সার্ভিস আসার পর তাদের মেশিন কাজ না করাতে এক-এক করে সবক’টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ফরিদগঞ্জ থেকে ফায়ার সার্ভিস এসে পুড়ে যাওয়া ছাইয়ের আগুন নেভায়। সঠিক সময়ে ফায়ার সার্ভিস পানি দিতে পারলে এত বড় ক্ষয়ক্ষতি হতো না। তাদের গাফলতিতে আমরা নিঃস্ব হয়ে গেলাম।
ঔষধের দোকানী কাজী নজরুল ইসলাম রুবেল বলেন, আমার রাতে তারাবিহ নামাজ পড়ে ঘুমিয়ে যাই। হঠাৎ আমার কাছে খবর আসে আমার দোকানসহ দোকানগুলো পুড়ে ছাই হচ্ছে। এসে দেখি, আমার দোকানে থাকা ঔষধ ও ৩টি সালিসির জমানো টাকা পুড়ে গেছে।
দোকান মালিক মিন্টু মিয়া কবিরাজ বলেন, আমার সন্দেহ এটা পরিকল্পিত। আর বিদ্যুৎ ও ফায়ার সার্ভিসের অবহেলার কারণেই আমার ৮টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
হাইমচর ফায়ার সার্ভিস লিডার রতন শেখ জানান, রাত ১১টা ৫০ মিনিটের সময় অগ্নিকান্ডের ফোন পাই। সাথে সাথে আমাদের টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য রিজার্ভ থাকা পানি দেই। পানি শেষ হয়ে গেলে পুকুরে পাম্প লাগালে মেশিনে যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দেয়। তখন আমরা পাশের উপজেলা থেকে ফায়ার সার্ভিস এনে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে পুড়ে ২০টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্তসাপেক্ষে বলা যাবে।
হাইমচর উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালমা নাজনীন তৃষা বলেন, আগুনে পুড়ে দোকান ক্ষয়ক্ষতির সম্পর্কে আমরা জেনেছি। আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আমি দেখেছি সেখানে ২৫টি দোকান পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে। ফায়ার সার্ভিসের ও বিদ্যুৎ অফিসের দায়িত্ব অবহেলার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবো। তদন্তের মধ্যমে দেখবো এটা কোন ষড়যন্ত্র কি না।

০৫ মার্চ, ২০২৫।