অর্থাভাবে নিভে যেতে পারে সাংবাদিক মিসবাহ্’র প্রাণ!


মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্
প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না হাজীগঞ্জ প্রেসক্লাবের ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক আবু তাহের মিসবাহ। যে কোনো সময় নিভে যেতে পারে এই মফস্বল সাংবাদিকের প্রাণ। এমন আশঙ্কায় পরিবারের সদস্যদের দিন কাটছে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায়।
আবু তাহের মিসবাহ হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ৩নং ওয়ার্ড বিলওয়াই গ্রামের বাসিন্দা। তিনি আল কাউসার স্কুলের ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। এর পাশাপাশি তিনি জাতীয় সাপ্তাহিক সোনার বাংলা, দৈনিক চাঁদপুর দিগন্ত ও সাপ্তাহিক মানবসমাজ পত্রিকার প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে আসছেন। তার স্ত্রী ও ৫ কন্যা সন্তান রয়েছে।
মাত্র তিন লাখ টাকার অভাবে চিকিৎসা না করিয়ে গত বৃহস্পতিবার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেন আবু তাহের মিসবাহ। এর আগে গত সোমবার (৪ মার্চ) তৃতীয়বারের মতো হৃদরোগে আক্রান্ত হলে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন তিনি। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপতালে রেফার করা হয়।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক সাংবাদিক আবু তাহের মিসবাহকে রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে দ্রুত ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন। জরুরি ভিত্তিতে তার হার্টে দু’টি রিং বসাতে হবে। কিন্তু প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে ঢাকায় না গিয়ে বাড়ির ফিরে আসেন তিনি। পারিবারিকভাবে অসচ্ছল এই সাংবাদিকের পক্ষে ব্যয়বহুল এ চিকিৎসার অর্থ যোগান দেয়া সম্ভব হয়ে উঠছে না।
কথা হয় আবু তাহের মিসবাহ’র সাথে। তিনি বলেন, টাকার অভাবে চিকিৎসা না করিয়ে বাড়ি ফিরেছি। আমার পরিবারে আমিই অভিভাবক। আমার ৫ মেয়ে সন্তান রয়েছে। তাদের জন্য আমাকে বাঁচতে হবে। সবার সহযোগিতা পেলে যতদ্রুত সম্ভব জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে গিয়ে চিকিৎসা নিতে পারবো।
শুধু টাকার অভাবে সাংবাদিক আবু তাহের মিসবাহ্’র জিবনাবসান হতে পারে না। তার পাশে দাঁড়ানোর জন্য সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন পরিবার। কোন সহৃয়বান ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সাংবাদিক আবু তাহের মিসবাহ্ পাশে দাঁড়াতে চাইলে যোগাযোগ করুন এই মোবাইল নম্বরে- ০১৬৭৭-৪৭৪০৫৯।