কচুয়া ব্যুরো
কচুয়া উপজেলার খিলা মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনে মারাত্মক ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষে বড় আকৃতির ফাটল দেখা দেয়। শ্রেণিকক্ষে ক্লাস চলাকালীন সময়ে ছাদের আস্তর খসে নিচে পড়ছে। বিভিন্ন সময় আস্তরের অংশ ফেটে শিক্ষার্থীদের গায়ে পড়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর থেকে নানা সমস্যায় জর্জরিত। বিশেষ করে নতুন ভবন নেই, নেই কোনো আধুনিক শৌচাগার ও ওয়াশ-বøক না থাকায় চরম দুর্ভোগের মধ্যে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাচ্ছি। কিছুদিন আগে ক্লাসে পাঠদানের সময়ে ছাদ থেকে আস্তর খসে পড়ে। এতে শিক্ষার্থীরা ভয়ে থাকে সবসময়। দ্রæত ওই বিদ্যালয়ে নতুন ভবনের দাবি জানান তারা।
শিক্ষার্থী অভিভাবকরা জানান, প্রতিদিন আমরা আমাদের ছেলেমেয়েদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে ভয়ে থাকি। কখন জানি আস্তর ভেঙে পড়ে তাদের জীবননাশ ঘটে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা বলেন, বিদ্যালয়ে একটি ভবনে ৩টি কক্ষ রয়েছে। আমাদের প্রাক-প্রাথমিকসহ মোট ৬টি কক্ষ প্রয়োজন। কিন্তু বিদ্যালয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিস পরিত্যক্ত ভবন ঘোষণা দিলেও এখনো নতুন করে ভবন নির্মাণ করা হয়নি। ফলে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ সংকট, নেই আর্সেনিকমুক্ত টিউবওয়েল, শৌচাগার। এতে করে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সমস্যায় পতিত হচ্ছে এবং ভয়ে ক্লাস করে। নতুন ভবন নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
বিদ্যালয়ের সভাপতি দিদারুল ইসলাম বলেন, দেশে শিক্ষা খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু আমাদের এ বিদ্যালয়টি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া সত্তে¡ও কেন নতুন ভবন করা হচ্ছে না সেটা আমার জানা নেই। বিদ্যালয়ে একটি নতুন ভবন করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
উপজেলা সহাকারী শিক্ষা অফিসার সুভাষ চন্দ্র বলেন, ইতোমধ্যে কচুয়া উপজেলায় কয়েকটি বিদ্যালয় পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ভবন নির্মাণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।
২৩ নভেম্বর, ২০২৩।