ফলোআপ
কচুয়া ব্যুরো
‘কচুয়ায় প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সরকারি খালের উপর জোরপূর্বক ব্রিজ নির্মাণ’ শিরোনামে দৈনিক ইল্শেপাড়সহ বেশ কয়েকটি স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর অবৈধ ব্রিজ নির্মাণের স্থান পরিদর্শন করেছেন কচুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নীলিমা আফরোজ।
গতকাল সোমবার পৌরসভার কাশিমপুর সড়কের পলাশপুরে অবস্থিত হারুন এভিনিউ মসজিদ এবং তালুকদার বাড়ির সামনের সরকারি প্রবাহমান খালের উপর সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে এ পাকা ব্রিজ নির্মাণের কাজ পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নীলিমা আফরোজ এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুমন দে।
পরিদর্শনকালে তাদের সাথে ছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আশেকুর রহমান, কচুয়া পৌরসভা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা মোহাম্মউল্লাহ, উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার তানিয়া বেগমসহ সংশিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ।
পরিদর্শনকালে ব্রিজ নির্মাণকারী আলমগীর হোসেন মৃধা সরকারি প্রবাহমান খালের উপর ব্যক্তি উদ্যোগে ব্রিজ নির্মাণের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার পৌরসভার কড়ইশ নিবাসী আলমগীর হোসেন মৃধাকে অবৈধ এ ব্রিজটির মধ্যখানের ভার্টিকেল ওয়াল ভেঙে ব্রিজ নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমতি নেয়ার আদেশ প্রদান করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অবসরপ্রাপ্ত এক প্রকৌশলী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী শহর, উপশহরের আশপাশে প্রবাহমান খালে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে ব্রিজ নির্মাণ না করার আদেশ রয়েছে।
প্রবহমান এ সরকারি খালের ২ কিলোমিটারের মধ্যে গত ১ বছরে ব্যক্তি উদ্যোগে ৬টি অবৈধ ব্রিজ নির্মিত হয়েছে। এভাবে ব্রিজ নির্মাণের ফলে মাছ চাষ, মাছ উৎপাদন, পানির প্রবাহ, বর্জ্য নিষ্কাশনের সকল পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছে। এভাবে ব্রিজ নির্মিত হতে থাকলে অল্প সময়ের মধ্যে প্রবাহমান এ খালটির কোন অস্তিত্ব থাকবে না।
স্থানীয়রা জানান, প্রবাহমান এই খালে সরকারের বিউটিফিকেশন লেক প্রকল্প হওয়ার কথা থাকলেও যেহারে ব্যক্তি মালিকানাধীন ব্রিজ নির্মাণ এবং খাল দখল চলছে তাতে করে একদিন এ খালটির অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তারা জানান, প্রবাহমান এ খালটি সরাসরি ডাকাতিয়া নদীর সাথে সংযুক্ত। ফলে এ খালের উপর অবৈধভাবে ব্যক্তি উদ্যোগে ব্রিজটি নির্মিত হলে পানি চলাচলে ব্যাঘাত ঘটবে এবং সব ধরনের নৌ চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভার কতৃত্বের ভূমিকাকে পুঁজি করে একটি সিন্ডিকেট নিজেদের স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে প্রবাহমান খাল দখল করে ব্রিজ নির্মাণের পুরোদমে চলছে।