চাঁদপুরে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির কাজ চলছে

২৩ কোটি টাকার

সজীব খান
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির আওতায় ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের জন্য চাঁদপুরে ২২ কোটি ৯৯ লাখ ১১ হাজার ১শ’ ৬৮ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। চাঁদপুর জেলার ৮ উপজেলার জন্য এ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে অতিদরিদ্রদের জন্য এ প্রকল্পের টাকা উল্লেখ করা হয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের এ বরাদ্দের বিপরীতে এ প্রকল্পের জন্য শ্রমিক নির্ধারণ করা হয়েছে ২১ হাজার ৬৮ শ’ জন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে প্রথম প্রর্যায়ের ৪০ দিনের প্রকল্প অনুমোন হয়। যা ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ রয়েছে।
দেশের গ্রামীণ জনপদের উন্নয়ন ও অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থানের জন্য বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থানের প্রথম প্রর্যায়ের প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য কিছু শর্তসাপেক্ষে এ প্রকল্পের জন্য এ অর্থ বরাদ্দ দেন। নিয়মানুযায়ী শ্রমিক ও ঘনমিটার মাটি কেটে প্রকল্পের কাজ শেষ করার জন্য নির্দেশ রয়েছে। কর্মসূচির সমাপ্তির ১ সপ্তাহের মধ্যে প্রকল্পের খরচ, হিসাব, ব্যাংক স্টেটমেন্ট মহাপরিচালক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ও প্রকল্প পরিচালকের কাছে প্রেরণ করতে হবে এবং অব্যয়িত টাকা ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারের জমা দেয়ার নির্দেশনা রয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থানের জন্য শ্রম মজুরি, নন ওয়েজ কস্ট এবং সরদার মজুরি নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে শ্রম মজুরি ২১ লাখ ৬৮ হাজার, নন ওয়েজ কস্ট ১ কোটি ১৫ লাখ ৯ হাজার ১শ’ ৬৮ টাকা, সরদার মজুরি ১৬ লাখ ২ হাজার টাকা, শ্রমিক নির্ধারণ করা হয়েছে ২৭ হাজার একশ’ জন।
চাঁদপুর সদর উপজেলার জন্য উপকারভোগী ৩ হাজার ৫শ’ ২৪জন। এর মধ্যে শ্রম মজুরি ২ কোটি ৮১ লাখ ৯২ হাজার, নন ওয়েজ কস্ট ১৪ লাখ ৯৬ হাজার ৪শ’ ২৫, সরদার মজুরি ২ লাখ ৫২ হাজার, সর্বমোট টাকা ২ কোটি ৯৯ লাখ ৪০ হাজার ৪শ’ ৪৫ টাকা।
ফরিদগঞ্জ উপজেলার উপকারভোগী শ্রমিক সংখ্যা ৪ হাজার ৪শ’ ৭১ জন। এর মধ্যে শ্রম মজুরি ৩ কোটি ৫৭ লাখ ৬৮ হাজার, নন ওয়েজ কস্ট ১৮ লাখ ৯৮ হাজার ৭শ’ ৫৪, সরদার মজুরি ২ লাখ ৭০ হাজার, সর্বমোট টাকা ৩ কোটি ৭৯ লাখ ৩৬ হাজার ৭শ’ ৫৪ টাকা।
হাইমচর উপজেলার উপকারভোগী শ্রমিক সংখ্যা ১ হাজার ৭শ’ ৮২ জন। এর মধ্যে শ্রম মজুরি ১ কোটি ৪২ লাখ ৫৬ হাজার, নন ওয়েজ কস্ট ৭ লাখ ৫৬ হাজার ৮শ’ ৯৪, সরদার মজুরি ১ লাখ ৮ হাজার, সর্বমোট টাকা ১ কোটি ৫১ লাখ ২০ হাজার ৮শ’ ৯৪ টাকা।
হাজীগঞ্জ উপজেলার উপকারভোগী শ্রমিক সংখ্যা ৩ হাজার ৭শ’ ৯৮ জন। এর মধ্যে শ্রম মজুরি ৩ কোটি ৩ লাখ ৮৪ হাজার, নন ওয়েজ কস্ট ১৬ লাখ ১৩ হাজার ১শ’ ৪৩ টাকা, সরদার মজুরি ২ লাখ ১৬ হাজার, সর্বমোট টাকা ৩ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ১শ’ ৪৩ টাকা।
কচুয়া উপজেলার উপকারভোগী শ্রমিক সংখ্যা ৫ হাজার ৩শ’ ৫ জন। এর মধ্যে শ্রম মজুরি ৪ কোটি ২৪ লাখ ৪০ হাজার, নন ওয়েজ কস্ট ২২ লাখ ৫২ হাজার ৮শ’ ৬৩ , সরদার মজুরি ২ লাখ ১৬ হাজার টাকা, সর্বমোট ৪ কোটি ৪৯ লাখ ৮ হাজার ৮শ’ ৬৩ টাকা।
মতলব দক্ষিণ উপজেলার উপকারভোগী শ্রমিক সংখ্যা ২ হাজার ১শ’ ৪৮ জন। এর মধ্যে শ্রম মজুরি ১ কোটি ৭১ লাখ ৮৪ হাজার, নন ওয়েজ কস্ট ৯ লাখ ১২ হাজার ২শ’ ৯৩, সরদার মজুরি ১ লাখ ৮ হাজার, সর্বমোট টাকা ১ কোটি ৮২ লাখ ৪ হাজার ২শ’ ৯৩ টাকা।
মতলব উত্তর উপজেলার উপকারভোগী শ্রমিক সংখ্যা ৩ হাজার ৩শ’ ৮১ জন। এর মধ্যে শ্রম মজুরি ২ কোটি ৭০ লাখ ৪৮ হাজার, নন ওয়েজ কস্ট ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯শ’ ৮ টাকা, সরদার মজুরি ২ লাখ ৫২ হাজার, সর্বমোট টাকা ২ কোটি ৮৭ লাখ ৩৫ হাজার ৯শ’ ৮ টাকা।
শাহরাস্তি উপজেলার উপকারভোগী শ্রমিক সংখ্যা ২ হাজার ৬শ’ ৯১ জন। এর মধ্যে শ্রম মজুরি ২ কোটি ১৫ লাখ ২৮ হাজার, নন ওয়েজ কস্ট ১১ লাখ ৪২ হাজার ৮শ’ ৩৯, সরদার মজুরি ১ লাখ ৮০ হাজার, সর্বমোট টাকা ২ কোটি ২৮ লাখ ৫০ হাজার ৮শ’ ৩৯ টাকা।
এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর উপজেলা ত্রাণ ও পূণর্বাসন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকারের অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মস্থংস্থান চাঁদপুরে সঠিক নিয়মে হচ্ছে। প্রতিটি প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত শ্রমিক ও ঘনফুট মাটি কাটা ইতোমধ্যে অব্যাহত রয়েছে। যেখানে অনিয়মের অভিযোগ আসছে, সেখানেই সাথে সাথে যাওয়া হচ্ছে। প্রকল্পের অনিয়মের বিষয়ে কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবে না। সরকারের এ প্রকল্প যাতে সঠিকভাবে কাজে লাগে সেজন্য সব সময় প্রকল্পের কাজ মনিটরিং করা হচ্ছে। অনিয়ম হওয়ার কোন প্রকার সুযোগ নেই।
তবে অভিযোগ ও রয়েছে, এখন পর্যন্ত অনেক প্রকল্পের কাজ বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে ধরা হয়নি বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। ঐসব কাজগুলো সরকারের বেঁধে দেয়া সময়ের পর কিভাবে হবে। না শেষ সব প্রকল্পের কাজ না করেই ওয়ার্ড মেম্বার ও চেয়ারম্যানরা কাজের টাকা আত্মসাৎ করবে। এমন ধরনের অভিযোগ ও সরজমিনে পাওয়া গেছে।