খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার সাজানো রায়ের প্রতিবাদে
মানিক দাস :
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট সাজানো ষড়যন্ত্রমূলক মামলার সাজার প্রতিবাদে চাঁদপুর জেলা বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে পুলিশের বাধায় ও লাঠিচার্জে ছাত্রদল এবং যুবদলের কমপক্ষে ১০ নেতা কর্মী আহত হয়েছে। এসময় এক ছাত্রদল কর্মীকে আটক করে পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার কেন্দ্রিয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চাঁদপুর জেলা বিএনপি বিকেলে দলীয় কার্যালয়ে বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার সাজানো রায়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করার আয়োজন করলে খ-িত মিছিলের উপর পুলিশ লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় সদর উপজেলা ছাত্রদলের কর্মী ইমরান হোসেনকে পুলিশ আটক করেছে।
জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড. সলিম উল্লাহ সেলিমের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক মনির চৌধুরীর পরিচালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন পুলিশ কোনভাবেই জিয়ার সৈনিকদের আটকিয়ে ও দাবিয়ে রাখতে পারবে না। যে ছাত্র নেতাকে আটক করা হয়েছে তাকে যদি অনতিবিলম্বে ছেড়ে না দিলে আমরা আন্দোলনের ঘোষণা দিব।
বক্তারা আরো বলেন, কোন ব্যক্তি যদি হাইকোর্টে আপিল করে সেই ব্যক্তির সাজা কমে যায়। কিন্তু বর্তমান সরকারের হাইকোর্ট আপিল করলে সাজা বাড়িয়ে দেয়। জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের মিথ্যা রায় দিয়েছে। হাইকোর্টে আপিল করায় আরও ৩ বছর বাড়িয়ে দিয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া বের হবেন। আবার তিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন। শেখ হাসিনা নাটক করলে ঐক্যজোট তার জবাব দিবে। আওয়ামী লীগ এখন সাজানো সংলাপের ডাক দিয়েছে। আমরা জাতীয়তাবাদী দল মনে করব সংলাপের মাধ্যমে সংসদ ভাঙতে হবে তবেই সংলাপ সার্থক হবে। শেখ হাসিনা বুঝেছেন দেশে একটি শক্তির প্রয়োজন। তাই তিনি ঐক্যজোটকে সংলাপে ডাক দিয়েছেন। আজকে চাঁদপুরে পুলিশ যে ঘটনা ঘটিয়েছে তাতে করে আমরা আগামিতে আমাদের আন্দোলনের কৌশল পরিবর্তন করব। পুলিশের চুক্তি শেখ হাসিনা রক্ষা পাবে না। জাতীয়তাবাদী দল রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করে বেগম জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করবে। একই সাথে বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার রায়ের প্রতিবাদ করবে। বর্তমান সরকার উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে জিয়া চ্যারিটেবল মামলার রায় দিয়েছে। যাতে করে বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সেজন্য।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আনোয়ার বাবলু, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. শামসুল ইসলাম মন্টু, পৌর বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন মাঝি, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. হারুনুর রশিদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী ঢালী, জেলা যুবদলের সভাপতি মোফাজ্জল হেসেন চান্দু, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ বাহার, জেলা কৃষক দলের সভাপতি এনায়েত উল্লাহ খোকন প্রমুখ।